সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সোহেলের বাবা মো. আবু তাহের সন্তানের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেন আবু তাহের।
আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় তাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় জীবনযাপন করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পুলিশের ভূমিকায় আমরা হতাশ। থানা পুলিশ বলছে আসামি কোথায় আছে জানালে গ্রেপ্তার করবে। তারা মামলাটি পরিচালনায় আগ্রহী নয় বলে তাদের কর্মকাণ্ডে মনে হয়।”
২০১৬ সালের ২৯ মার্চ চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াসা ক্যাম্পাসে বিদায় অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়টির এমবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী নাছিম আহমেদ সোহেল। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
এ ঘটনার পর সোহেলের পিতা আবু তাহের বাদি হয়ে ৩৩জনকে আসামি করে চকবাজার থায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে এজাহারনামীয় আসামি করা হয় ১৩ জনকে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের নির্দেশনার পরও আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না উল্লেখ করে সোহেলের বাবা বলেন, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় তাদের চেয়েও শক্তিধর কেউ পুলিশকে থামিয়ে রেখেছে।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে আবু তাহের তার সন্তান হত্যার দুই বছর পূর্তির আগেই মামলার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার এবং অভিযোগপত্র দাখিলের দাবি জানান।
এদিকে সোহেলের বাবার অভিযোগ প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ পর্যন্ত এজাহারনামীয় ১১ জনসহ মোট ১৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের নাম পরবর্তী তদন্তে এসেছে।
“এখনো পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি যে সোহেলকে ছুরিকাঘাত করেছে, ইব্রাহীম ওরফে সোহান তাকে ধরা যায়নি। সেকারণে এখনো অভিযোগপত্র দেওয়া যাচ্ছে না।”
দ্রুততম সময়ে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।