পরিবহন ধর্মঘটে অচল চট্টগ্রামের বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোগুলো

গেইট পাস, বখশিসের নামে টাকা আদায়ের অভিযোগে চট্টগ্রামে বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোগুলো থেকে মালামাল পরিবহন বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2018, 07:26 AM
Updated : 5 March 2018, 07:59 AM

সোমবার সকাল থেকে চট্টগ্রামে বেসরকারি মালিকানাধীন ১৮টি কন্টেইনার ডিপো থেকে মালামাল পরিবহন বন্ধ করে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন।

আন্তঃজিলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক কভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সুফিউর রহমান টিপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ১ মার্চ থেকে বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোগুলোতে লোড-আনলোডের জন্য ট্রাক, কভার্ড ভ্যান, প্রাইম মুভার প্রবেশের সময় গেইট পাস ও পার্কিং বাবদ ১৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।

পাশাপাশি মালামাল ওঠানামার জন্য শ্রমিকরা ৬০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা আদায় করছে বলেও অভিযোগ তাদের।

টিপু বলেন, “অবৈধ এই চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে আমরা সকাল থেকে প্রত্যেকটি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে মালামাল আনা নেওয়া বন্ধ রেখেছি।”

এই দাবিতে গত শনিবার বন্দর চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপিও দিয়েছে পরিবহন মালিকদের সংগঠনগুলো।

আন্তঃজিলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক কভার্ডভ্যান মালিক সমিতি, চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্ল্যাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বন্দর ট্রাক কভার্ডভ্যান মালিক ও কন্টেকটার অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নসহ অন্তত ১৫টি শ্রমিক সংঠন এ  আন্দোলনে যোগ দিয়েছে।

বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) সচিব রুহুল আমিন বলেন, “পরিবহন মালিকরা সকাল থেকে ডিপোগুলোতে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ফলে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে।”

তিনি দাবি করেন, গেইট পাস ও পার্কিং চার্জ বাবদ ৫০ টাকা করে মোট ১০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে, ১৫০ টাকা নয়।

গেইট পাসের টাকা সব ডিপোতে নেওয়া হলেও পার্কিংয়ের টাকা কেবল পার্কিং সুবিধা সম্বলিত ডিপোতেই নেওয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, পার্কিংয়ের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরেও ৫৭ দশমিক ৫০ টাকা করে আদায় করা হয়।

গেইট ফি আদায়ের বিষয়ে যুক্তি দিয়ে রুহল আমিন বলেন, “ডিপোগুলো রক্ষণাবেক্ষনের জন্য যে খরচ হচ্ছে, তা পোষানোর জন্যই এ টাকা নেওয়া হচ্ছে।”

কন্টেইনার শ্রমিকদের ৬০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা করে বখশিস আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, “কোনো ডিপোই শ্রমিকদের বখশিস আদায়ের বিষয়টি সাপোর্ট করে না। কেউ যদি নিজের মালামাল দ্রুত লোড আনলোডের জন্য বখশিস দিয়ে থাকেন, সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।”