শনিবার বিকালে ওই হামলার পর রাতে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি নগরীর জামালখান, প্রেস ক্লাব, আন্দরকিল্লা মোড় হয়ে আবার চেরাগী পাহাড়ে এসে শেষ হয়।
মিছিলে সমবেতদের হাতে লেখা পোস্টারে লেখা ছিল- ‘ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের উপর বর্বরোচিত হামলার বিচার চাই’।
মিছিল ও সমাবেশের আয়োজনকারী সংগঠন সর্বস্তরের ছাত্র-যুব, সংস্কৃতি, শিক্ষক ও পেশাজীবী জনতা, চট্টগ্রাম।
মিছিল শেষে চেরাগী পাহাড় মোড়ে সমাবেশ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারী ও হামলার নির্দেশদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস বলেন, “অতীতে এ ধরনের হামলার বিচার না হওয়ায় আজ অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলা হলো।
“অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।”
প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান বলেন, “অভিজিৎ রায়, দীপনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও লেখকদের হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলাগুলো এখনো শেষ হয়নি। দোষীরা শাস্তি পায়নি।
“বিচারহীনতার এই সংস্কৃতির কারণেই আজ আমাদের এটাও দেখতে হল।”
উদীচী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুনীল ধর বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অধ্যাপক জাফর ইকবালের পরিবারের অবদান রয়েছে। তিনি বাংলাদেশে মুক্তবুদ্ধি চর্চার একজন পথিকৃৎ। তার উপর হামলা মানে বাংলাদেশের চেতনার ওপর হামলা।
“আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারী কারা এবং তাদের নির্দেশদাতা কারা সেটা জাতি জানতে চায়।”
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিকর্মী শিহাব চৌধুরী বিপ্লব, যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি রিপায়ন বড়ুয়া, সাংবাদিক প্রীতম দাশ এবং ছাত্র ইউনিয়ন নেতা আতিক রিয়াদ।