মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সভাপতি মিহির কুমার রায় এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুয়াজ্জম হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়- “আজ সকাল থেকে কতিপয় দুষ্কৃতকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। তারা শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য নির্ধারিত শাটল ট্রেন বন্ধ করে দেয়।
“বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে রাখা শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহনকারী বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর করে। এসময় তারা শেখ কামাল জিমনেশিয়ামও ভাংচুর করে।”
শিক্ষক সমিতির বিবৃতিতে আরো বলা হয়- “এমনকি তারা শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রক্টর অফিসের কক্ষসমূহে হামলা করে এবং ওই কার্যালয়ের সামনে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাড়িতেও ভাংচুর চালানো হয়।
“বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ ধরণের ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। একইসাথে সমিতি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।”
পাশাপাশি ঘটনার নেপথ্যে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় শিক্ষক সমিতির বিবৃতিতে।
সাংবাদিকদের প্রতিবাদ সমাবেশ
মঙ্গলবার দুপুরে প্রক্টর কার্যালয়ে হামলার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনে সেখানে গিয়েছিলেন সময় টেলিভিশন এবং যমুনা টিভির সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহক।
হামলাকারীরা সময় টেলিভিশনের গাড়ি ভাংচুর করে এবং প্রক্টর কার্যালয়ে থাকা সংবাদকর্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে।
কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) টিভি ইউনিট মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সিইউজে কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
টিভি ইউনিট প্রধান অনিন্দ্য টিটুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে তদন্ত কমিটি করে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের শনাক্ত করা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, সিইউজে সভাপতি নাজিমুদ্দিন শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস এবং সাবেক সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।
পাশাপাশি সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ২২ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিইউজে।