হুমকির অভিযোগে সোমবার মহানগর হাকিমের আদালতে মামলা করেন আইনজীবী হাবিবুর রহমান আজাদ।
আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হুমকি দেওয়া এবং চেম্বারে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন তিনি।
আসামিরা হলেন - নগরীর পতেঙ্গা মুসলিমাবাদ এলাকার মাফিয়া খাতুনের চার ছেলে মনির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, মোক্তার হোসেন, জাকির হোসেন, তিন পুত্রবধূ নিশান, সানু, আনজু ও মাফিয়ার স্বামীর ভাইয়ের স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা।
আইনজীবী আজাদ বলেন, মাফিয়া লিলি নামে ২১ দিন বয়সী এক শিশুকে দত্তক নিয়েছিলেন। পরে তার ওই চার ছেলের জন্ম হয়।
“মাফিয়া তার প্রয়াত স্বামীর ইচ্ছা অনুসারে লিলিকে পৌনে এক শতক জমি দান করেন। এ কারণে ছেলেরা মাকে নানাভাবে নির্যাতন শুরু করেন। ছেলেরা তাকে হত্যাচেষ্টা ও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন বলেও মা মাফিয়ার অভিযোগ। এ ঘটনায় গত বছরের ৬ নভেম্বর মাফিয়া বাদী হয়ে সন্তানদের বিরুদ্ধে মামলা করেন আদালতে।”
তিনি বলেন, “এ বছর ৯ জানুয়ারি মারধরের অভিযোগে মাফিয়া আরেকটি মামলা করেন ছেলেদের বিরুদ্ধে। এ মামলাটিও আমি পরিচালনা করছি। এ মামলার পর থেকে আসামিরা আমার আদালতের চেম্বার, মাইলের মাথার চেম্বার এমনকি বাসায় পর্যন্ত গিয়ে মামলা পরিচালনা করতে নিষেধ করে।
“সর্বশেষ ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার চেম্বারে একটি চিঠিটি দিয়ে যায়। তাতে বলা হয়, মামলা চালালে লিলির কী হবে তা জানতেও আমি পারব না। মামলা থেকে বিরত না থাকলে আমার খবর আছে।”
এ ঘটনায় নিজের নিরাপত্তার জন্য মামলা করেছেন বলে জানান এই আইনজীবী।
তিনি বলেন, “হুমকি দিয়ে লেখা চিঠিটি আদালতে উপস্থাপন করেছি। আদালত মামলা গ্রহণ করে আট আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে।”