‘বড় অপরাধে’ যাচ্ছিল পুলিশকে গুলিবর্ষণকারীরা

চট্টগ্রামে এসআইয়ের ওপর গুলিবর্ষণকারীরা বড় ধরনের অপরাধ করতে যাচ্ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2018, 02:03 PM
Updated : 17 Feb 2018, 02:16 PM

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আবদুল ওয়ারিশ বলেন, “ছিনতাই বা বড় কোনো অপরাধ করতেই তারা ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল।”

নগরীর পাঁচলাইশ থানার ২ নম্বর গেইট এলাকায় শুক্রবার বিকালে থামার সংকেত দিলে একটি মোটরসাইকেলের আরোহীরা গুলি চালায়। তাদের দলে তিনটি মোটরসাইকেলে ১০ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে একজনকে ঘটনাস্থল থেকে আর রাতে অভিযান চালিয়ে মুরাদপুর এলাকা থেকে অন্য দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তা ওয়ারিশ বলেন, “তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আর জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।”

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজনের নাম আব্দুল হাকিম ওরফে অভি (১৯)।

গ্রেপ্তার একজন নগরীর কাজেম আলী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। তার বাসা নাসিরাবাদ ৫ নম্বর সড়কে জলিল বিল্ডিং গলিতে। তার বাবা একজন ব্যবসায়ী। 

গ্রেপ্তার অন্যজন নাসিরাবাদ বয়েজ হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। তার বাসা নাসিরাবাদ হাউজিংয় সোসাইটির ৫ নম্বর সড়কে। তার বাবা পেশায় ঠিকাদার।

পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “আমাদের ধারণা ইতোপূর্বেও তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, যা পুলিশের নজরে আসেনি।

“আমাদের কাছে এ ঘটনায় আরও কিছু তথ্য আছে। হামলাকারীদের সবাই উঠতি ও কিশোর বয়সী সন্ত্রাসী। কিশোর অপরাধের যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে এটি তার প্রতিফলন। হামলাকারীদের অনেকেই মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। নিম্ন পরিবারসহ কিছু কুচক্রী মহলের সাথে মিশে তারা অপরাধ জগতের দিকে পা বাড়াচ্ছে।”

হামলার ঘটনায় পাঁচলাইশ থানার এসআই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে ওয়ারিশ জানান।

ঘটনার পর পুলিশ জানিয়েছিল, ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সী এই কিশোর-তরুণরা ‘ছিনতাইয়ে জড়িত’; সঙ্গে পিস্তল থাকায় ধরা পড়ার ভয়ে চেকপোস্টে তল্লাশির আগেই তারা গুলি চালায়।

গুলিবিদ্ধ পাঁচলাইশ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক আব্দুল মালেক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ঘটনায় ব্যবহৃত তিনটি মোটর সাইকেল আটক করলেও এখনও কোনো অস্ত্র পায়নি।