বৃহস্পতিবার বেলা একটা ৫০ মিনিটের দিকে নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের সময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে।
সকাল থেকেই মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে দলীয় কিছু নেতাকর্মী নগরীর নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনের মাঠে অবস্থান নেয়।
বেলা দেড়টার দিকে শাহাদাতের নেতৃত্বে বেশ কিছু নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের বাইরের সড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের সরিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়।
ঘটনাস্থল থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক উত্তম সেনগুপ্ত জানান, দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করিয়ে দেওয়ার পর পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়ে বিএনপিকর্মীরা। এসময় পুলিশ কার্যালয়ের ভেতরের মাঠে ঢুকে লাঠিচার্জ করে।
“এসময় কাজীর দেওড়ির মোড়ের কাছে এসএ পরিবহনের সামনেও বিএনপিকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।”
পরে দলীয় কার্যালয় থেকে ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ১০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
“ইটপাটকেলে আমাদের আট-দশজন আহত হয়েছে। এরপর তাদের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।”
এদিকে সকাল থেকে বন্দর নগরীতে যানবাহান চলাচল ছিল কম। নগরীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসের মধ্যে ১০ নম্বর ও ৪ নম্বর রুটের কিছু বাস চলতে দেখা গেলেও অন্য রুটের বাস তেমন দেখা যায়নি।
সকাল ১০টার পর থেকে যানবাহন চলাচল বাড়তে শুরু করেছে। রায় ঘোষণাকে ঘিরে নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার ক্লাশ হয়নি।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রেজাউল মাসুদ জানান, রায়ের আগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় মোট ১৪৮ জনকে আটক করা হয়, যাদের ১২৮ জন বিএনপির এবং ২০ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী।
এদের মধ্যে সীতাকুণ্ডে ১৫ জন, সন্দ্বীপে চার জন, ফটিকছড়িতে নয়জন, হাটহাজারীতে ৪২ জন, রাউজানে আটজন, রাঙ্গুনিয়াতে চারজন, বোয়ালখারীতে সাতজন, পটিয়ায় সাতজন, আনোয়ারায় তিনজন, চন্দনাইশে পাঁচজন, সাতকানিয়ায় ছয়জন, লোহাগাড়ায় পাঁচজন, বাঁশখালীতে ১৫ জন, ভুজপুরে ১০ জন এবং জোরারগঞ্জে আটজন।