সোমবার নগরীর আলকরণ ও উত্তর নালাপাড়া এলাকায় ওই দুইজনের বাসায় ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানান নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) জাহাঙ্গীর আলম।
৩৬তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন নগরীর উত্তর নালাপাড়া এলাকার আমেনা মারজান; আর শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন আলকরণ এলাকার সাবরিনা ইয়াসমিন পুষ্প।
পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কয়েক লাখ প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এই দুইজন ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরির সুপারিশ পেয়েছেন।
“নিঃসন্দেহে তারা অনেক মেধাবী। তাদেরকে অভিনন্দন জানানো উচিত আমাদের।”
দুপুরে দুইজনের বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তাদের মিষ্টিমুখও করান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
দুইজনের বাবা-মাকেও পুলিশ অভিনন্দন জানিয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশের এমন শুভেচ্ছায় অভিভূত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমেস্ট্রি থেকে মাস্টার্স করা সাবরিনা ইয়াসমিন পুষ্প বলেন, “পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে অনেকের কাছ থেকে নানা ধরনের হয়রানির কথা শুনেছি। তবে আমার ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটেছে।
“পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের খোঁজ খবর নেওয়ার পর দুপুরে বাসায় আসেন এবং ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।”
নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া উত্তর নালাপাড়ার বাসিন্দা আমেনা মারজান চট্টগ্রাম কলেজ থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করেছেন।
মারজান বলেন, “আমরা বুঝতে পারিনি পুলিশ বাসায় এসে শুভেচ্ছা জানাবে। বাসায় আসা পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আমাকে বলেছেন, কোনো ধরনের হয়রানি ও টাকা ছাড়া আমাদের ভেরিফিকেশন হয়েছে। আমি যেন চাকরি জীবনে গিয়ে কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া মানুষের সেবা করি।”