রোববার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোতাহির আলী এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- হারাধন নাথ, আবদুল আজিজ ও শেফালী বেগম।
এদের মধ্যে আবদুল আজিজ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। শেফালী বেগম হাসপাতালে অস্থায়ী আয়া হিসেবে কাজ করতেন।
আসামিদের মধ্যে আবদুল আজিজ গ্রেপ্তার থাকলেও অন্য দুই জন পলাতক।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এম এ নাসের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
“পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। অন্য এক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।”
আইনজীবী এম এ নাসের বলেন, হারাধন নাথের সন্তানের সাথে শিশু রাকিব (৪) খেলাধুলা করত। ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি বিকালে নাস্তা করানোর কথা বলে রাকিবকে নিয়ে যায় হারাধন।
“পরে শিশুটিকে শেফালী বেগমের কাছে দিয়ে দেয় হারাধন। শেফালী মাত্র চার হাজার টাকায় শিশুটিকে আবদুল আজিজের কাছে দিয়ে দেয়। মূলত বিক্রির জন্যই তারা শিশুটিকে অপহরণ করেছিল।”
এ ঘটনায় শিশু রাকিবের বাবা মিসবাহুল ইসলাম চৌধুরী বায়েজিদ থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার পর ওই বছরেই অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।