শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে সংরক্ষিত ঐতিহাসিক ফাঁসির মঞ্চের পাশে মাস্টারদার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও কারাগারের কর্মকর্তারা।
এছাড়া নগরীর জে এম সেন হলে সূর্য সেনের আবক্ষ মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাসদ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, সূর্য সেন স্মৃতি পাঠাগার, চিটাগাং অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠন।
রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়ায় সূর্য সেনের আবক্ষ মূর্তিতে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
“মাস্টারদার দেখানো পথে বিপ্লবী তৎপরতায় বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ পরাজিত হয়েছে।পাকিস্তানি শাসকদের এদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে এদেশের মুক্তিকামী জনগন। কিন্তু আমাদের কাংখিত সেই গণতান্ত্রিক ও শোষণ বৈষম্যহীন রাষ্ট্র আজো আমরা পাইনি।”
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ফরিদুল আলম, প্রীতম সাহা, রবিউল হোসেন, অমিতাভ সেন প্রমুখ।
এদিকে ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা শাখা সংগঠনের কার্যালয়ে আরেকটি আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ওই সভায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল ও কেন্দ্রীয় সদস্য অটল ভৌমিক, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আতিক রিয়াদ।
এতদিনেও সূর্য সেনের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সংরক্ষণে যথাযথ উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম বিপ্লব ও বিপ্লবী স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ।
পরিষদের সংগঠক প্রীতম দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ মাস্টারদার নামে চট্টগ্রামে কোনো সড়ক নেই। নেই কোনো স্মৃতি জাদুঘর।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বিপ্লবীদের কর্মকান্ড পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি জানান প্রীতম দাশ।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বিপ্লবের ডাক দেন মাস্টারদা সূর্য সেন। ভারতীয় প্রজাতান্ত্রিক বাহিনী, চট্টগ্রাম শাখা গঠন করে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের।
তার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন, ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমন, জালালাবাদ যুদ্ধ হয়।
১৯৩৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ইংরেজ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন সূর্য সেন। ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি মধ্যরাতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সূর্য সেন ও বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।