৪ নারীকে ধর্ষণ: এবার পুলিশের ভাই গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এক বাড়ির চার নারীকে ধর্ষণের ‘হোতা’ আবু সামার দেওয়া তথ্যে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2017, 04:24 PM
Updated : 2 Sept 2019, 12:56 PM

গ্রেপ্তার আব্দুল হান্নান (৪২) চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নানের ভাই। মান্নানের পরিবার কোতোয়ালি থানা প্রাঙ্গণের বাসায়ই থাকেন।

কোতোয়ালি এলাকা থেকেই বুধবার সন্ধ্যায় হান্নানকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পিবিআই।

গ্রেপ্তার হান্নান গত নির্বাচনে বড় উঠান ইউপিতে সদস্য পদে প্রার্থী ছিলেন।

ওই ইউনিয়নেরই এক বাড়িতে গত ১২ ডিসেম্বর রাতে ডাকাতির সময় প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী ও তাদের এক বোনকে ধর্ষণ করা হয়।

ধর্ষণের শিকার নারীরা পরদিন মামলা করতে গেলে ঠিকানা জটিলতার কথা বলে মামলা নিতে গড়িমসি করে পুলিশ। পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর হস্তক্ষেপে পাঁচ দিন পর মামলা নেয় পুলিশ।

থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলার তদন্তভার নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মামলার পর কর্ণফুলী থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করলেও পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পর আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

তাদের মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার আবু সামা (৪৫) এই ডাকাতির ‘হোতা’ বলে পিবিআই কর্মকর্তাদের দাবি।

আবু সামাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সোমবার রাতে গ্রেপ্তার মিজান মাতুব্বরের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে।

এরপর বুধবার আবু সামার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান পিবিআই কর্মকর্তা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মোড় থেকে হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

পুলিশ কর্মকর্তার বড় ভাই হান্নান তার এলাকার ওই বাড়িতে ডাকাতির আগে আবু সামাকে খবরাখবর সরবরাহ করেছিলেন বলে পিবিআইয়ের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

এই আবু সামার তথ্যে গ্রেপ্তার করা হয় আব্দুল হান্নানকে

আদালতে জবানবন্দিতে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা আবু সামা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্ত্তী।

ধর্ষণের এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা নিতে গড়িমসির অভিযোগ ওঠার পর বিভিন্ন সংগঠন থেকে কর্ণফুলী থানার ওসি সৈয়দুল মোস্তফাকে প্রত্যাহারের দাবি উঠেছিল।

এরপর সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এসে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) হারুণ উর রশিদ হাযারি কর্ণফুলী থানা পুলিশের ‘আংশিক’ ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন।

এদিকে মামলা নিতে দেরি এবং এজাহারে ত্রুটি থাকায় কর্ণফুলী থানার ওসিকে কারণ দর্শাতে বলেছে চট্টগ্রামের আদালত।