চার নারী ধর্ষণ: কর্ণফুলীর ওসিকে শোকজ আদালতের

এক বাড়িতে ডাকাতিতে গিয়ে চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিতে বিলম্ব এবং এজাহারে ত্রুটি থাকায় কর্ণফুলী থানার ওসিকে শোকজ করেছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2017, 01:55 PM
Updated : 27 Dec 2017, 01:55 PM

মঙ্গলবার এ ঘটনায় গ্রেপ্তার এক আসামির রিমান্ড আবেদন এবং অন্য একজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ শেষে রাতে দেওয়া আদেশে শোকজের বিষয়টি উল্লেখ করেন মহানগর হাকিম আল ইমরান খান।  

বুধবার আদেশের অনুলিপি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবুদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদেশের বিষয়টি আজ আমরা জানতে পেরেছি।

“মামলা গ্রহণে বিলম্ব হওয়ায় এবং এজাহারে কিছুটা অসঙ্গতি থাকায় কর্ণফুলী থানার ওসিকে শোকজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।”

গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে নগরীর কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের এক বাড়িতে ডাকাতির সময় তিন প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী ও তাদের এক বোনকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরদিন ধর্ষিতারা কর্ণফুলী মামলা করতে গেলে ঠিকানা জটিলতার কথা বলে মামলা নেয়নি পুলিশ।

পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বাবুর হস্তক্ষেপে পাঁচ দিন পর মামলা নেওয়া হয় থানায়।

শুরুতে মামলা নিতে দেরি হওয়ার ক্ষেত্রে কর্ণফুলী থানার ওসি সৈয়দুল মোস্তফা নিজেদের গাফিলতির কথা অস্বীকার করেন।

পরে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনায় ‘আংশিক ব্যর্থতা’ শিকার করেন নগর পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এরপর মঙ্গলবার তদন্তভার পেয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)।

এদের আবু সামা (৪৫) বুধবার মহানগর হাকিম আবু ছালেম মো. নোমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, “জবানবন্দিতে আবু সামা ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।”

এ ঘটনায় পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার মিজান মাতব্বর নামের আরেক আসামি মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।