শুক্রবার ভোররাতে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে এই নেতার মৃত্যুর পর দিনভর নগরীর বিভিন্ন এলাকা, পাড়া-মহলা, জটলা ও আড্ডায় আলোচনার কেন্দ্রে থাকেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।
ষাটের দশকের এই ছাত্রনেতার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার ভালোবাসা, আওয়ামী লীগের রাজনীতি এবং সাধারণ মানুষের প্রতি তার ভালোবাসার কথা ফিরছিল তাদের মুখে মুখে।
কেউ বলছিলেন ‘এমন নেতা আর আসবেন না’; কেউ কেউ বলছিলেন, চট্টগ্রামের অধিকার নিয়ে মহিউদ্দিনের মতো আর কাউকে সেভাবে আন্দোলনের ডাক দিতে দেখা যাবে না।
“তার মতো আর কোনো নেতা পাওয়া যাবে না,” আফসোস ঝরে তার কষ্ঠে।
নগরীতে দুই দশক ধরে রিকশা চালান রংপুরের হাসান আলী। সকালে আন্দরকিল্লা মোড়ে দাঁড়িয়ে কণ্ঠে বিস্ময় নিয়ে তিনি বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী নাকি মারা গেছেন!
সস্মতি জানাতেই বললেন, “খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তার মতো লোক হয় না।”
মহিউদ্দিন চৌধুরীকে কেন পছন্দ করেন জানতে চাইলে এই রিকশাচালক বলেন, “উনাকে কেন জানি আপন আপন লাগে।”
নগরীর অক্সিজেন এলাকা থেকে বিকালে মহিউদ্দিনের জানাজায় এসেছিলেন বিএনপিকর্মী জহিরুল ইসলাম।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ রকম নেতা আর আসবে না। তিনি আওয়ামী লীগ করলেও তার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা থেকেই জানাজায় এসেছি। কে কোন দল করত তা না দেখে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়াতেন।”
মহিউদ্দিন চৌধুরীর মতো মানুষ হয় না মন্তব্য করে মাহবুবুর বলেন, “চট্টগ্রামের জন্য কাজ তাকে এত দূর এনেছে। তার অন্তর অনেক বড়। সবার উপর তিনি মানুষকে ঠাঁই দিয়েছিলেন। সে কারণে তিনি মানুষের হৃদয়ে সারাজীবন থাকবেন।”
ফেইসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মানুষ।প্রয়াত নেতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি তার সামজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেছেন অনেকে।