শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর চশমা হিলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবনে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের।
ওই বাসা থেকে বেরোনোর পথে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “তাকে আমরা আর কোনোদিনই ফিরে পাব না। চট্টগ্রামকে তিনি কান্নার নদীতে ভাসিয়ে যাচ্ছেন। শোক শুধু চট্টগ্রামে নয়, সারা দেশেই শোকের ছায়া।
“ঢাকাতেও মহিউদ্দিন চৌধুরীর জন্য অনেক মানুষ কাঁদছে (এসময় কেঁদে ফেলেন ওবায়দুল কাদের)। অনেক মানুষ শোক করছেন। আমাদের নেত্রীও (শেখ হাসিনা) আজ ভোর বেলায় কান্নায় ভেঙে পড়েন।”
সাড়ে পাঁচ দশকের রাজনৈতিক জীবনে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের শীর্ষ পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।
“আমাদের নেত্রী তাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য হতেও বলেছিলেন। তিনি রাজি হননি। তিনি বলতেন, আমার স্বপ্ন, আমার ধ্যান, আমার সব কিছুই হচ্ছে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের বাইরে নেতা হওয়ার আমার কোনো স্বপ্ন নেই।”
চট্টগ্রামে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, বন্দর রক্ষা আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলনে সামনের কাতারে ছিলেন মহিউদ্দিন। সর্বশেষ সিটি করপোরেশন সম্প্রতি গৃহকর বাড়ানোর ঘোষণা দিলে তার বিরোধিতায় আন্দোলনে নামেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পৌরকর সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়।
বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম সফরে গিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে দেখতে না পেলে ‘মহিউদ্দিন ভাই কোথায়?’ বলে তার খোঁজ করতেন শেখ হাসিনা।
২০১০ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হারের পর মহিউদ্দিন চৌধুরীকে একাধিকবার মন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছিল।
মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিলেও তাতে রাজি হননি বলে তখন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন মহিউদ্দিন।
“তিনি আমাদের মাঝে নেই। এখন আমাদের যা করণীয়, তার স্বপ্নকে পূরণ করতে হবে, জলাবদ্ধতামুক্ত ক্লিন, গ্রিন ও আধুনিক চট্টগ্রাম। যেদিন তা হবে সেদিনই মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্বপ্ন সফল হবে।”