চট্টগ্রামে হারুণের খুনিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ

চট্টগ্রামে পরিবহন ব্যবসায়ী ও যুবদল নেতা হারুণ অর রশীদের খুনিরা ১০ দিনেও গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে সমাবেশ করেছে স্থানীয়রা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2017, 12:31 PM
Updated : 13 Dec 2017, 12:57 PM

বুধবার দুপুরে কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ডের পলাশী চত্বরে ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির’ ব্যানারে এই সমাবেশ হয়।

গত ৩ ডিসেম্বর কদমতলী এলাকায় রাহাত সেন্টারের সামনে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় হারুণকে। বিএনপি নেতারা এ ঘটনার জন্য যুবলীগ-ছাত্রলীগকে দায়ী করেন।

নিহত হারুণ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের সাবেক ডেপুটি মেয়র প্রয়াত দস্তগীর চৌধুরীর বড় ভাই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর চৌধুরীর ছেলে।

হারুণ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গত ৩ ডিসেম্বর কদমতলীতে প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা করে ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি’। তার অংশ হিসেবে বুধবারের সমাবেশ হয়।

সমাবেশে আন্তঃজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী জাফর আহমেদ বলেন, “হারুণ যদি দিনের বেলায় এভাবে খুন হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?”

কদমতলী এলাকায় বাস ও ট্রাক স্ট্যান্ড মিলিয়ে নানা ধরনের ব্যবসা পরিচালিত হওয়ায় সেখানে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ইউনেস্কো স্বীকৃতিতে আনন্দ শোভাযাত্রা থেকে কয়েকজন হারুণকে পিটিয়ে ও গুলি চালিয়ে হত্যা করে।

ওই শোভাযাত্রায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, পাশের মোগলটুলীর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল কাদের, ফিরিঙ্গী বাজারের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব ও সিআরবি জোড়া খুনের মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম লিমন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

হারুণ অর রশীদের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ডের পলাশী চত্বরে ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির’ ব্যানারে সমাবেশ

সমাবেশে ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি’র নামে দেওয়া প্রচারপত্রে লেখা হয়, “সিআরবি জোড়া খুনের অন্যতম আসামি লিমনের নেতৃত্বে কাউন্সিলর কাদের গ্রুপের সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন, নুর উদ্দিন, নুরুন্নবী ও দুলালসহ আরও কয়েকজন হামলা চালিয়ে হারুণকে হত্যা করে।”

সমাবেশ শেষে হারুণের বড় ভাই হুমায়ন রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, কদমতলী এলাকায় ট্রাক ও বাস স্ট্যান্ডকে ঘিরে একটি পক্ষ আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। হারুণ দীর্ঘদিন ধরে তাদের বাধা দিয়ে আসছিলেন। ওই অংশটিই হারুণকে খুন করে।

১০ দিনেও হারুণ হত্যার ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হুমায়ন।

শওকত আলীর সভাপতিত্বে ও সুফিয়ার রহমান টিপুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হাজী আলাউদ্দিন, শফিকুল হুদা, মো. ইমরান, নূর খান, সোহেল আহমদ, নুরুল হুদা তানভীর।