পৌরকর পরিশোধ না করলে ক্রোকি পরোয়ানা: নাছির

বকেয়া পৌরকর আদায়ে বারবার তাগাদা দেয়ার পরও কেউ তা পরিশোধ না করলে তাদের বিরুদ্ধে ক্রোকি পরোয়ানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2017, 03:11 PM
Updated : 10 Dec 2017, 03:11 PM

রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) কে বি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে সিসিসির কর আদায়কারী, লাইসেন্স ইন্সপেক্টর, টিও ও ডিটিওদের সাথে এক সমন্বয় সভায় তিনি একথা বলেন।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর এক মতবিনিময় সভায় বর্ধিত গৃহকর নিয়েও ‘ক্রোকি পরোয়ানা’ জারির হুমকি দিয়েছিলেন মেয়র।

তবে গৃহকর বাড়ানো নিয়ে নানা বাদ-প্রতিবাদের মধ্যে গত ২৬ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক সভায় নতুন কর পুনর্মূল্যায়ন পদ্ধতি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিনের সভায় মেয়র নাছির বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৌরকর  দেওয়া নাগরিক দায়িত্ব। বর্তমানে প্রায় তিনশ কোটি টাকার মত পৌরকর বকেয়া রয়েছে।

“সম্মানিত গৃহকর হোল্ডারদের কাছে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আদায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একবার নয়, প্রয়োজনে বারবার যাবে। সম্মানিত হোল্ডারদের কাছে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা পৌরকর প্রদানে সচেতনতামূলক কাউন্সেলিং করবে।

“এরপরও যারা বকেয়া পৌরকর প্রদান করবেন না বা বিরত থাকবেন তাদের বিরুদ্ধে ক্রোকি পরোয়ানার সিদ্ধান্তই গ্রহণ করা হবে।”

যে সব সরকারি-বেসরকারি বা অপরাপর প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌরকর বকেয়া রয়েছে, তা আদায়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবরে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

আ জ ম নাছির বলেন, রাজস্ব আয় ছাড়া সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কখনও কাঙিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাবে না। এখন যে রাজস্ব আয় হচ্ছে তা দিয়ে কোনো রকমে চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

“তাও বলতে গেলে এক রকম গায়ে গায়ে পুষিয়ে নেওয়া। যা উন্নয়ন হচ্ছে তা জাইকা, থোক বা সরকারি অর্থ সহায়তায় করা হচ্ছে। এখন সরকারি সাহায্যও তো ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে।”

এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, প্রকল্প সহায়তা নিতে গেলে তো সিটি করপোরেশনকে প্রকল্পের বিপরীতে নিজস্ব একটি ফান্ড দিতে হবে। টাকা না থাকলে এই ফান্ড কীভাবে দেওয়া যাবে?

সভায় উপস্থিত সিসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমানকে পৌরকর আদায় কার্যক্রম নিয়মিত মনিটর করে তাকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন মেয়র।

সিসিসির স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি শফিকুল আলম এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুদ্দোহা সভায় উপস্থিত ছিলেন।