‘ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাতিয়ার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’

ইতিহাস বিকৃতিকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই একমাত্র হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2017, 02:34 PM
Updated : 10 Dec 2017, 02:34 PM

রোববার বিকালে চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার শিখা প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সড়ক দ্বীপে এই বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো। এর আগে গত ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় পণ্য মেলা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন বলেন, “বঙ্গবন্ধুই ছিলেন বাঙালি জাতিসত্তার বাতিঘর। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

“ইতিহাসকে যারা বিকৃত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই একমাত্র হাতিয়ার। আমরা এখনো দেশকে রাজাকার-আলবদর মুক্ত করতে পারিনি। তবে বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দঁড়িতে ঝুলানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় গেলে তাদের নির্মূল করা হবে।”

অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক নাট্যজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, “একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উপলব্ধি করি নতুন প্রজন্ম এখনো পরিশুদ্ধ নয়। তা না হলে ভবিষ্যত ধ্বংস হয়ে যাবে।

“মনে রাখতে হবে নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করার পরিকল্পিত প্রক্রিয়া চলছে। এর বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।”

বিজয় মেলা পরিষদের কো-চেয়ারম্যান বদিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মদ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ দাশ।

বিজয় মেলা পরিষদের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন মেলার মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. শিরীন আখতার, জাসদ কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইন্দু নন্দন দত্ত, বিজয় মেলা কমিটির আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী এবং পান্টু লাল সাহা।

আলোচনা সভা শেষে বিজয় মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর উদ্যোগেই ২৯ বছর আগে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের আউটার স্টেডিয়াম এবং জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার যাত্রা শুরু হয়।