উচ্চ আদালতের জামিনের আদেশ আসার পর সোমবার সন্ধ্যায় সাক্কুকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মুজিবর রহমান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “উচ্চ আদালতের জামিনের আদেশ কারাগারে আসার পর তা যাচাই বাছাই করে সাইদুলকে ছাড়া হয়েছে।”
গত বছরের ৫ জুন সকালে নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে খুন হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। সে সময় পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ঢাকায় ছিলেন বাবুল।
মোটরসাইকেলে করে আসা কয়েকজন বন্দরনগরীর ওআর নিজাম রোডের বাসার কয়েকশ গজ দূরে ছেলের সামনে তাকে প্রথমে ছুরি মারে ও পরে গুলি করে হত্যা করে।
হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন বাবুল আক্তার। চট্টগ্রামে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততাও মিতু হত্যাকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণ হতে পারে ধরে নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে অল্প দিনেই সে ধারণা থেকে সরে আসেন তদন্তকারীরা।
এ ঘটনায় পুলিশ গত বছরের এক জুলাই সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কুকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়; যিনি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল সরবরাহ করেছিল বলে পুলিশের দাবি।
মিতু হত্যাকাণ্ডে অন্যতম সন্দেহভাজন কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসার বড় ভাই সাক্কু।