বাইকের তেলের ট্যাঙ্কে ৩৫ হাজার ইয়াবা, গ্রেপ্তার ৩

মোটর সাইকেলে করে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে চট্টগ্রাম ও ফেনীর বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে এমন একটি ইয়াবা পাচারকারী চক্রের সন্ধান পেয়েছে চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2017, 11:10 AM
Updated : 15 Nov 2017, 01:22 PM

চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার রাতে এই চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানায়।

গ্রেপ্তার একরামুল হুদা (৩১) উখিয়ার পালংখালীর বাসিন্দা।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এএএম হুমায়ন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগে থেকে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে আকবর শাহ থানার পশ্চিম ফিরোজ শাহ এলাকা থেকে একরামুলকে আটক করা হয়।

“পরে তার মোটর সাইকেল তল্লাশি করে তেলের ট্যাঙ্কের ভেতর বিশেষ কৌশলে রাখা ৩৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।”

গোয়েন্দা কর্মকর্তা হুমায়ন জানান, একরামুল ইয়াবা পাচারকারী চক্রের সদস্য। এ চক্রে আরও বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছে যারা মোটর সাইকেলে করে চট্টগ্রাম ও ফেনীতে ইয়াবা পাচার করে।

তিনি বলেন, একরামুলের ব্যবহার মোটর সাইকেলের তেলের ট্যাঙ্কে বিশেষ কৌশলে আলাদা একটি আবরণ বসানো ছিল। যেখানের ভেতরে করে ইয়াবা পাচার করা হয়।

সচরাচর মোটর সাইকেলে পাঁচ থেকে সাত লিটার তেল রাখা গেলেও তার মোটর সাইকেলে দুই লিটারের বেশি তেল নেওয়া যায় না। 

হুমায়ন আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একরামুল তাদের চক্রের মৌলভী আক্তার, ফয়সাল ও মো. ওসমান নামে তিন সদস্যের নাম জানিয়েছেন। তারা সবাই উখিয়ার পালংখালীর বাসিন্দা।

এছাড়া এ চক্রে আরও বেশকিছু সদস্য আছে এবং ৪০টির মতো এ ধরনের মোটর সাইকেল রয়েছে। যেগুলোতে করে ইয়াবা পাচার করা হয় বলে একরামুল জানিয়েছেন।

এদিকে র‍্যাব-৭ এর একটি দল কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ১০ হাজার ইয়াবাসহ বাসের দুই সুপার ভাইজারকে গ্রেপ্তার করেছে।

বুধবার দুপুরে কর্ণফুলী থানার মইজ্জ্যার টেক এলাকায় বাসে তল্লাশি করে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. সহিদ মজুদমদার ওরফে শান্ত (৩২) ও আব্দুল আওয়াল প্রামাণিক (৩৮)।

র‍্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মিমতানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগে থেকে খবর পেয়ে দুপুরে মইজ্জ্যার টেক শাহ আমানত সেতু এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট পরিচালনা করে।

এসময় বাসে তল্লাশি করে সন্দেহজনক আচরণের জন্য শান্ত ও আওয়ালকে তল্লাশি করে দুই হাজার ৬০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাস থেকে আরও সাত হাজার ৪০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।