বুধবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর রুহুল আমিন এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে আগামী ৯ জানুয়ারি শুনানির দিন রেখেছেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার (রপ্তানি) শাহাবুদ্দিন নাগরী ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- সহকারী কমিশনার সাজেদুল হক, প্রিভেন্টিভ অফিসার মোহাম্মদ বাহারুল আলম, কাস্টমস এপ্রেইজার আবুল হাশিম এবং নিলাম শাখার এফপিএস ফজলুল ইসলাম।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল।
২০০৯ সালের ২ জুলাই নগরীর মোহরা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাসান আলী তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ভবানী প্রসাদ সিংহের আদালতে সাতজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছিলেন।
মামলায় নিলামে গাড়ি কেনার পর এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি এবং নিলামে নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে অন্য ব্যক্তির কাছে গাড়ি বিক্রির অভিযোগ করা হয়।
আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে হাসান আলী পাঁচ লাখ ৫২ হাজার টাকায় গাড়িটি কিনেছিলেন।
“কিন্তু সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে তাকে না দিয়ে ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল তিন লাখ ৮৭ হাজার টাকায় গাড়িটি আমদানিকারকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।”
এ ঘটনায় ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় করা ওই মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দেন দুদক ঢাকা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কে এম মেজবাহ উদ্দিন।
কবি ও গীতিকার হিসেবে পরিচিত শাহাবুদ্দিন নাগরী ঢাকার নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীকে খুনের মামলারও আসামি। এই মামলায় নাগরী এবং ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
এই মামলায় কয়েকদিন কারাভোগের পর জামিনে আছেন শাহাবুদ্দিন নাগরী।