আত্মগোপনে থেকেও চলত হামকা মিলনের ‘ছিনতাই কারবার’

এক সময়ে সরাসরি ছিনতাইয়ে অংশ নিলেও পাঁচ বছর ধরে পুলিশের খাতায় ‘পলাতক’ গোলাম সরোয়ার মিলন ওরফে হামকা মিলনের নাম ঘুরে ফিরেই আসত সব বড় বড় ছিনতাইয়ের ঘটনায়।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2017, 01:13 PM
Updated : 22 Oct 2017, 01:13 PM

পুলিশ বলছে, আত্মগোপনে থেকেও মিলনের ছিনতাই কারবার বন্ধ ছিল না, এসময় তিনি বিভিন্ন ছিনতাইকারী দলকে অস্ত্র সরবরাহ করা ছাড়াও নানাভাবে সহায়তা করতেন; বিনিময়ে পেতেন ছিনতাই করা মালামালের ভাগ।

অনেকদিন ধরে খোঁজার পর ছিনতাইকারী চক্র হামকা গ্রুপের অন্যতম সদস্য মিলনকে শনিবার নগরীর ডবলমুরিং থানার দেওয়ান হাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ডবলমুরিং থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম জানান, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বন্দুক ও পাঁচটি গুলিসহ মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের তথ্য, প্রায় এক দশক আগে ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়েন মিলন। ওই সময়ে নগরীতে ছিনতাইয়ের পাশাপাশি ডাকাতি, খুনসহ বিভিন্ন ঘটনায়ও ছিলেন তিনি। ২০১২ সালের পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান।

ওসি মহিউদ্দিন বলেন, “চট্টগ্রামে গত কয়েক বছরে যেসব বড় বড় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে সেগুলোতে কোনো না কোনো ভাবে নাম এসেছে হামকা মিলনের। সে বিভিন্ন ছিনতাইকারী গ্রুপগুলোকে অস্ত্র সরবরাহসহ নানা বিষয়ে সহযোগিতা করে।

“আগে মিলনের গ্রুপে অনেকে থাকলেও এখন তার গ্রুপ থেকে বের হয়ে টেম্পু, হাতকাটা জাহাঙ্গীর, ভাগিনা জাহাঙ্গীরসহ আরও অনেকে আলাদা গ্রুপ তৈরি করেছে।”

বর্তমানে মিলনের গ্রুপে ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য আছে জানিয়ে ওসি মহিউদ্দিন বলেন, “মিলন এখন সরাসরি ছিনতাইয়ে অংশ না নিয়ে তার গ্রুপের সদস্যদের টার্গেট ঠিক করে দেয়। তারা টার্গেট অনুযায়ী কাজ করে মিলনকে ভাগ দেয়।”  

“টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রামে বেশকিছু ‘কন্ট্রাক কিলিংয়ের’ সাথেও মিলন জড়িত ছিল বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। ২০১৪ সালের মাঝামাঝিতে মোগলটুলি এলাকার কানা মান্নান হত্যাকাণ্ডেও সে সরাসরি জড়িত ছিল।”

কানা মান্নান হত্যা মিলনের নাম অভিযোগপত্রের দুই নম্বরে রয়েছে বলে জানান ওসি।

তিন দিনের রিমান্ড

এদিকে মিলনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

ওসি মহিউদ্দিন বলেন, “আমরা সাত দিন রিমান্ডের আবেদন করেছিলাম।

“চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মো. নোমান শুনানি নিয়ে তিনদিন রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন।”