তারেক (২০) চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির এলএলবি সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টেকনাফ। তার বাবা টেকনাফের মহেশ খালীয়া পাড়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম একজন ব্যবসায়ী।
বুধবার বায়েজিদ বোস্তামী থানার তৈয়বিয়া আবাসিক এলাকা থেকে ১০ হাজার ইয়াবাসহ তারেককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এএএম হুমায়ন কবির জানান।
তারেকের দেওয়া তথ্যে পাঁচলাইশ থানার বিবির হাট এলাকা থেকে রফিক (২০) নামে আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ; তার কাছে পাওয়া যায় আরও ১০ হাজার ইয়াবা।
গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারেকের এক বোনের স্বামী টেকনাফের মৌলভী পাড়ার বাসিন্দা ফজর আলী। ফজর আলী ও তার ছোট ভাই মোহাম্মদ আলী পুলিশের তালিকাভুক্ত ইয়াবা বিক্রেতা।
মাস খানেক আগে চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে আছেন ফজর।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, “পারিবারিকভাবে স্বচ্ছল তারেক উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন করত। আর বোনের স্বামী ফজর আলীর হাত ধরে সে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে বলে পুলিশকে জানিয়েছে।”
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ায় তারেকের কাছে ইয়াবার গ্রাহকেরও কমতি ছিল না। তিনি টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্রি করতেন।
কামরুজ্জামান বলেন, “তারেক একাই একটি ফ্ল্যাট নিয়ে চট্টগ্রামের আতুরার ডিপো এলাকায় থাকে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ায় স্বচ্ছল পরিবারের ইয়াবা আসক্ত ছেলেদের সাথে তার উঠাবসা করা সহজ ছিল।”
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার রফিক ছিল তারেকের ইয়াবা কারবারের সহযোগী।
তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করেছে পুলিশ।