তখন চকবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ওই কলেজ ছাত্রী। থানা পুলিশ ঘুরে সে মোবাইল ফোন উদ্ধারের দায়িত্ব যায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে।
মোবাইল সেটের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডিন্টিটি) নম্বরের সূত্র ধরে সাত মাস পর সেটটি উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
একটি ফোন সেটের জন্য একটি স্বতন্ত্র আইএমইআই নম্বর দেওয়া থাকে।
উদ্ধারের পর দেখা যায়, সেটটি আই ফোন নয়; সাধারণ ব্রান্ডের একটি সিম্ফনি মোবাইল সেট।
গোয়েন্দা পুলিশের এসআই শিবেন বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, উদ্ধার করা সিম্ফনি ব্রান্ডের ভি-৭৫ সেটটি ব্যবহৃত হচ্ছিল আই ফোনের আইএমইআই নম্বর দিয়ে।
একটি চক্র মোবাইল সেটের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে থাকে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশ, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে মোবাইলের আইএমইআই পাল্টানোর করিগরদের গ্রেপ্তার করে এবং বেশকিছু সেটও জব্দ করে।
ওই সময় গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছিল, সাধারণত বেশি দামি সেটের আইএমইআই পরিবর্তন করে থাকে তারা।
এসআই শিবেন জানান, সোমবার রাতে পাঁচলাইশ থানায় সুন্নিয়া মাদ্রাসা এলাকার ভেতর রেল বিটের কাছে একটি গ্যারেজে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সিম্ফনি সেটটি উদ্ধার করা হয়।
ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানান, গত এপ্রিল মাসে স্টেশন রোড থেকে সাড়ে চার হাজার টাকায় সেটটি কিনেছিলেন তিনি।