এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে ওই যুবকের মা ও খালাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. সোহেল (২০), তার মা কোহিনূর বেগম (৪০), খালা জাহানারা বেগম (৪২) এবং সোহেলের লাশ গুমের চেষ্টায় সহযোগিতাকারী রিকশাচালক।
শনিবার রাতে নগরীর সদরঘাট থানার রশিদ বিল্ডিং এলাকা থেকে সোহেল ও রিকশাচালককে এবং পরে সোহেলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মাদরবাড়ি টং ফকির মাজার এলাকার বাসা থেকে তার মা ও খালাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহেলের বোনকেও আটক করেছে পুলিশ।
সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোহেল তার বাবা তৈয়ব আলীকে খুন করে বস্তায় ভরে শনিবার রাতে রশিদ বিল্ডিং এলাকায় কভার্ডভ্যান স্ট্যান্ডের বড় নালায় লাশটি ফেলতে যায়।
“এসময় এলাকার দারোয়ান নালায় কী ফেলা হচ্ছে জানতে চাইলে সোহেল, তার সাথে থাকা এক বন্ধু ও রিকশাচালক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সোহেলের ওই বন্ধু পালিয়ে গেলেও দারোয়ান স্থানীয়দের নিয়ে সোহেল ও রিকশাচালককে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।”
পরে পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে সোহেল ও রিকশাচালককে গ্রেপ্তার করে বলে এসি জাহাঙ্গীর জানান।
পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী টং ফকির এলাকার বাসা থেকে তার মা কোহিনূর, খালা জাহানারাকে গ্রেপ্তার এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ছোট বোনকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, “গ্রেপ্তাররা জানিয়েছে, শারীরিক প্রতিবন্ধী তৈয়ব বিভিন্ন সময় টাকা-পয়সার জন্য ছেলে ও স্ত্রীকে নির্যাতন করে। শুক্রবার রাতে তৈয়ব আলী বাসায় গিয়ে স্ত্রীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা চায়। এসময় তারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তৈয়ব আলীর সাথে তাদের গভীর রাত পর্যন্ত ঝগড়া হয়।
“ঝগড়ার এক পর্যায়ে রাত পৌনে ২টার দিকে সোহেল তার বাবাকে কাঠের ব্যাট দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মা কোহিনূর ও খালা জাহানারা গলা টিপে ধরে।
“ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সে তার বাবার মুখে বালিশ চাপা দেয় এবং মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য কাঁচি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৪০/৫০টি আঘাত করে। পরে মা ও খালার সহায়তায় লাশটি বস্তায় ভরে রেখে দেয়।”
পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরও বলেন, সোহেল তার এক বন্ধুর পরামর্শে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে শনিবার রাতে রশিদ বিল্ডিং এলাকায় নালায় ফেলতে যায়।
তার ওই বন্ধুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।