মালয়েশীয় বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে শনিবার সন্ধ্যায় ত্রাণগুলো চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
গত ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরু হলে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল নামে। এরইমধ্যে দুই লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ।
বিপুল সংখ্যক এই শরণার্থীর জরুরি প্রয়োজন মেটাতে শিগগির ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় জানিয়েছে।
আরও অনেক দেশ রোহিঙ্গাদের এই দুর্দশায় সহায়তার কথা বলেছে। তবে তাদের জন্য প্রথম বাংলাদেশে ত্রাণ পাঠাল মালয়েশিয়া।
মালয়েশীয় ভাইস এডমিরাল মোহাম্মদ আদিব বিন আব্দুস সামাদের নেতৃত্বে ত্রাণবাহী বিমানটি বিমানবন্দরে আসার পর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শঙ্কর রঞ্জন সাহা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান ।
পরে ভাইস এডমিরাল মোহাম্মদ আদিব বিন আব্দুস সামাদ জেলা প্রশাসক জিল্লুরের কাছে ত্রাণগুলো হস্তান্তর করেন।
বিভিন্ন ধরনের মোট ১২ টন ত্রাণ এসেছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “ভাইস এডমিরাল মোহাম্মদ আদিব বিন আব্দুস সামাদ বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের সাথে তাদের আলোচনা অব্যাহত আছে। মালয়েশিয়া সরকার আরও খাদ্য শস্য, ওষুধ, ডাক্তার পাঠানোর জন্য প্রস্তুত আছে এবং দুই সরকারের অলোচনার প্রেক্ষিতে তার ফলাফল আমরা জানতে পারব।”
রোববার ত্রাণগুলো কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক জিল্লুর।