কুমিল্লার আদর মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (বন্দর) আসিফ মহিউদ্দিন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মাদকাসক্ত অমিত চুল-দাড়ি কেটে বেশভূষাও পাল্টে ফেলেছিলেন। তবে গলা আর হাতে আঁকা উল্কি দেখে পুলিশ তাকে চিনে ফেলে।
অমিতেরই বন্ধু ছিলেন ইমন। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের সন্দেহে অমিত বন্ধু ইমনকে খুন করান বলে এই হত্যামামলায় গ্রেপ্তার দুজন জানিয়েছেন।
গত ১৩ অগাস্ট নগরীর কোতোয়ালী থানার এনায়েত বাজার রানীর দিঘী থেকে সিমেন্ট ঢালাই করা ড্রামের ভেতর থেকে ইমনের লাশ উদ্ধারের সময় পরিচয় জানা যায়নি।
পরে পুলিশ তদন্ত করে ইমনের পরিচয় নিশ্চিত হয় এবং শিশির ও শফি নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
৩১ অগাস্ট ওই দুজনকে গ্রেপ্তারের পর থেকে অমিতকে খুঁজছিল পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা আসিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে অমিত কুমিল্লা পালিয়ে যায়।
“সেখানে সে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হওয়ার পর চুল দাড়ি কেটে ফেলে। পুলিশের কাছে থাকা ছবির সঙ্গে তার কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে অমিতের গলার বাম পাশে ও ডান হাতে আঁকা উল্কি দেখে আমরা তাকে চিনে ফেলি।”
শিশির ও শফি জানিয়েছেন, গত ৯ অগাস্ট নগরীর নন্দনকান ৩ নম্বর গলির হরিশদত্ত লেইনে বেঙ্গল হোল্ডিংসের ষষ্ঠ তলায় অমিতের বাসায় ইমনকে হত্যা করা হয়। এরপর ড্রামে ভরে সিমেন্ট ঢালাই করে লাশটি ১২ অগাস্ট দিঘীতে ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা আসিফ বলেন, “প্রথমে ইমনকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করতে না চাইলেও পরে অমিত স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, বাসায় ডেকে নিয়ে চেয়ারে হাত বেঁধে ইমনকে কোপানো ও মারধর করা হয়। পরে সে মারা যায়।”
নিজেকে যুবলীগ ‘নেতা’ পরিচয় দেওয়া অমিত কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী। সিআরবিতে রেলের দরপত্র নিয়ে জোড়া খুনেরও অন্যতম আসামি তিনি।
সিআরবির জোড়াখুন ও ইমন খুনসহ অমিতের বিরুদ্ধে মোট ১৩ টি মামলা আছে বলে পুলিশ জানায়।
গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাথে ডিসি হিলে পুলিশের ওপর হামলা, বাকলিয়া এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে অমিতের বিরুদ্ধে।