রোববার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জয়দ্বীপ দত্ত (১২) ফিরিঙ্গী বাজার এলাকার হাজী কলোনির বাসিন্দা দেবাশীষ দত্ত ও রিংকু দত্ত দম্পতির বড় ছেলে।
রিংকু দত্ত ওই স্কুলেরই লাইব্রেরিয়ান; আর দেবাশীষ কর্ণফুলীর দেয়াং এলাকায় অবস্থিত দেয়াং মরিয়ম আশ্রম স্কুলের শিক্ষক।
জয়দ্বীপের ছোটভাই দ্বেপজিৎ দত্তও সেন্ট প্ল্যাসিডস স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন জানান, দুপুরে গুরুতর আহত শিশুটিকে হাসপাতাল নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মাথায় আঘাত রয়েছে।
শিশুটির জ্যাঠা দেবরাজ দত্ত ডেভিড বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লাইব্রেরিতে একটি আলমারির ওপর আরেকটি আলমারি রাখা ছিল। ওপরে রাখা আলমারিটি পড়ে গেলে তার নীচে চাপা পড়ে জয়দ্বীপ।”
সেন্ট প্ল্যাসিডস হাইস্কুলের সহ-অধ্যক্ষ ব্রাদার রিংকু কস্তা বলেন, “দুপুরে লাইব্রেরিতে একটি বিষয়ের ক্লাস শেষে ছাত্ররা লাইন ধরে বের হওয়ার সময় একটি আলমারি কাত হয়ে জয়দ্বীপের ওপর পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে সে মারা যায়।”
ওইসময় তার মা রিংকু দত্তও লাইব্রেরিতে ছিলেন। তিনি পাশাপাশি শিক্ষকতাও করতেন বলে জানান রিংকু কস্তা।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রোববার স্কুলে জয়দ্বীপের কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা ছিল না। বাসায় কেউ না থাকায় মায়ের সাথে স্কুলে এসেছিল সে। দুর্ঘটনার সময় সে তার মায়ের সাথে বসে অংক করছিল।
জয়দ্বীপের জ্যাঠা দেবরাজ বলেন, “জয় মেধাবী ও শান্ত প্রকৃতির ছিল। আগামী বুধবার তার অংক পরীক্ষা। সে কারণেই মায়ের সাথে স্কুলে গিয়েছিল।”
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু
নগরীর কালুরঘাটে বিসিক শিল্প এলাকায় একটি সাবান কারাখানায় কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন এক শ্রমিক।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অতুল কেমিক্যাল লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ রহিম (৪০) বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব চাম্বল গ্রামের মৃত হাকিম আলীর ছেলে।
এএসআই আলাউদ্দিন জানান, কারখানায় কাজ করার সময় রহিম বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
“হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”