এ সময়ের মধ্যে ‘জলাবদ্ধতা-যানজটমুক্ত’ হয়ে চট্টগ্রাম তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলেও দাবি সিডিএ চেয়ারম্যানের।
শনিবার নগরীর একটি হোটেলে জলাবদ্ধতা নিরসনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী বর্ষা মৌসুমে নগরীর যে কোন একটি এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হয়ে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে বলে ঘোষণা দেন ছালাম।
‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ নিয়ে পাঁচ হাজার ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সম্প্রতি একনেকে অনুমোদন পায়। মতবিনিময় সভায় ওই প্রকল্পের কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন সিডিএ চেয়ারম্যান।
জলাবদ্ধতাসহ নগরীর উন্নয়নে নেওয়া সব প্রকল্প সিটি করপোরেশন এবং ওয়াসাসহ অন্যান্য সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে বাস্তবায়ন করবেন বলে জানান তিনি।
মোট ১৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে আগামী পাঁচ বছরের উন্নয়নে চট্টগ্রাম ৫০ বছর এগিয়ে যাবে বলে দাবি করেন সিডিএ চেয়ারম্যান। তবে শুধুমাত্র বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলেই এটা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি।
“উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এক মেয়াদে কখনোই উন্নয়নকাজ শেষ করা যায় না। ধারাবাহিকতা থাকায় দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখতে শুরু করেছে নগরবাসী।”
তিনি বলেন, এ দুটিকে সমন্বয় করে আগামী তিন বছরের মধ্যে চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করা হবে। প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৩৬টি খালের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ, মাটি খনন ও পরিস্কারের পাশাপাশি তিন বছরে খালের মুখে মোট ২৮টি স্লুইস গেইট বসানো হবে। এসব খালে থাকা ৪৮টি সেতুও প্রতিস্থাপন হবে।
খালগুলোর পাড়ে ১৫ ফুট চওড়া ৮৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক তৈরি হবে জানিয়ে ছালাম বলেন, এসব কাজ শেষ হলে নগরীর সিডিএ, আগ্রাবাদ, খাতুনগঞ্জ, হালিশহর, মুরাদপুর ও বহদ্দারহাট এলাকা আর জলাবদ্ধ থাকবে না।
এসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে নালা-নর্দমা পরিষ্কার এবং খাল দখলমুক্ত রাখার অনুরোধ জানান সিডিএ চেয়ারম্যান।
সিটি করপোরেশনকে বাদ দিয়ে সিডিএকে কেন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হলো জানতে চাইলে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, “আল্লাহপাক তাদের দ্বারা না করিয়ে আমাকে দিয়ে করানোর জন্য রেখেছেন।”
সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান, উপ-সচিব অমল গুহ, সিডিএ’র বোর্ড সদস্য জসিম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন শাহ, কেবিএম শাহজাহান ও স্থপতি সোহেল শাকুর মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
ফৌজদারহাট থেকে বায়েজীদ পর্যন্ত বাইপাস রোড, পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত রিং রোড, আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার এবং লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ফ্লাইওভারসহ (এক্সপ্রেসওয়ে) বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের অগ্রগতির তথ্য মতবিনিময় সভায় তুলে ধরেন আবদুচ ছালাম।