সিসিসির বাজেটে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৪৬৭ কোটি টাকা

দুই হাজার ৩২৭ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, যাতে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2017, 03:14 PM
Updated : 30 July 2017, 06:12 PM

রোববার নগর ভবনে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। 

এবারের দুই হাজার ৩২৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার বাজেট গত বছরের তুলনায় ১০২ কোটি টাকা বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঘোষিত বাজেট ২ হাজার ২২৫ কোটি টাকা হলেও সংশোধনের পর তা ৬৬২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বা এক-তৃতীয়াংশে নেমে আসে।

জলাবদ্ধতা নিরসন নাছিরের নির্বাচনী অঙ্গীকারের শীর্ষে থাকলেও সে সঙ্কট নিরসনে বরাদ্দ রাখা হয়েছে কম। এবারও বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নগরবাসী।

বাজেটে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে মোট পাঁচটি খাতে ৪৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দুই খাত হিসেবে খাল, ছড়া ও নর্দমায় পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে খনন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এছাড়া খনন কাজের জন্য এস্কেভেটর, ট্রাক ও যন্ত্রপাতি ভাড়া বাবদ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

সরকারি অনুদান থেকে ১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বহদ্দারহাট থেকে কর্ণফুলি নদী পর্যন্ত খাল খননে। এছাড়াও টানা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, নালা, প্রতিরোধ দেয়াল মেরামত করতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।

আয়-ব্যয়

বরাবরের মতো এবারও বাজেটে আয়ের প্রধান উৎস ধরা হয়েছে গৃহকর ও উন্নয়ন অনুদান। গৃহকরসহ তিন ধরনের কর বাবদ মোট আয় ধরা হয়েছে ৮০৭ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

উন্নয়ন অনুদান থেকে আয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২৯০ কোটি টাকা।

এছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে ৪৩ কোটি ১০ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে।

হাল কর ও অভিকর থেকে আয় ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। বকেয়া কর খাতে ১৮১ কোটি ১২ লাখ টাকা ও কর খাতের অন্যান্য উৎস থেকে আয় ধরা হয়েছে ১২৬ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এবারের বাজেটেও ব্যয়ের শীর্ষে আছে নগর উন্নয়ন খাত। এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে সর্বোচ্চ এক হাজার ২২৩ কোটি টাকা।

ব্যয় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বেতন-ভাতা ও পারিশ্রমিক খাত। এ খাতে ব্যয় হবে ২৭৫ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

গত বারের বাজেটে উন্নয়ন খাতে ব্যয়ের জন্য ধরা হয়েছিল এক হাজার ১২১ কোটি টাকা। পুরো অর্থবছরে সিসিসি ব্যয় করতে পেরেছিল মাত্র ২৫৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বাজেট ঘোষণা করে নাছির বলেন, মামলা ও নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোয় প্রত্যাশিত কর আদায় হয়নি।

“তাছাড়া গত অর্থবছরে নতুন কোনো প্রকল্প না নেওয়ায় উন্নয়ন অনুদানও পাওয়া যায়নি। তাই গত অর্থবছরের বাজেট শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।”

গত অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের হার ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ হলেও চলতি অর্থবছরে আকার আরও বেড়েছে। 

তবে এবারের বাজেট ‘বাস্তবায়ন করবেনই’ বলে দৃঢ় আশাবাদী মেয়র।