চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার উঠানামায় নতুন রেকর্ড

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজ জট ও জেটিতে কন্টেইনার জট নিয়ে সমালোচনার মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চসংখ্যক কন্টেইনার উঠানামার রেকর্ড হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2017, 01:40 PM
Updated : 22 July 2017, 01:41 PM

শনিবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় রেকর্ড সংখ্যক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর তথ্য জানান বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল।

সভা চলাকালে বেলা দেড়টার দিকে তিনি বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা রেকর্ড স্থাপন করেছি। আমার কাছে এইমাত্র খবর আসল- চট্টগ্রাম বন্দরের সকল রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা ৯৬৯৫ টিইইউ (টোয়েন্টি ফিট ইক্যুভেলেন্ট ইউনিট) কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছি।

“তার মধ্যে চার হাজার ৮১৩ ইমপোর্ট (আমদানি) এবং চার হাজার ৮৮২ এক্সপোর্ট (রপ্তানি)।”

এর আগে চলতি বছর ৩০ এপ্রিল বন্দরে কন্টেইনার উঠানামার সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ৯ হাজার ৩৯৭ টিইইউ।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, “এ মুহূর্তে আমাদের মোট ৩৭ হাজার ২১৭ টিইইউ কন্টেইনার বন্দরের ভেতর আছে। গত এক বছরে ৫০ হাজার ঘনফুট বন্দরের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় যোগ করেছি।”

প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনারকে এক টিইইউ একক ধরে হিসেবে করা হয়।

‘দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য ও ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের স্বার্থে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ ও চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার বিষয়ে সর্বস্তরের স্টেকহোল্ডারদের সাথে’ মতবিনিময় সভাটির আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব নজিবুর রহমান।

সভায় ব্যবসায়ী নেতারা বহির্নোঙরে জাহাজ জটের বিষয়টি উল্লেখ করে বন্দরের ‘ভাবমূর্তি সংকট’ সৃষ্টি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, “সাত নম্বর খালের পাশে নতুন ইয়ার্ড প্রায় প্রস্তুত। যে চার হাজার দুইশটি অকশন কন্টেইনার আছে সেগুলো সোমবার থেকে স্থানান্তর শুরু করব। সেটা রাতের বেলা হবে যাতে জট না লাগে। অকশন কন্টেইনার দিয়ে ওই ইয়ার্ডটির যাত্রা শুরু করতে চাই।”

এই চার হাজার দুশ কন্টেইনার সরিয়ে ফেললে মূল বন্দরের মধ্যে ‘একটা নতুন হিউজ স্পেস ক্রিয়েট’ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আরও নতুন অফডক প্রয়োজন এবং বিদ্যমান অফডকগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে বলেও মত দেন বন্দর চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে মোট রপ্তানি ছিল ১১ লাখ ৬২ হাজার ৯৭০ টিইইউ‘এস এরমধ্যে পাঁচ লাখ ৭৭ হাজার টিইইউ’এস লোডেড (পণ্যভর্তি)। 

“বন্দরে কন্টেইনার জট কমানোর দুটি রাস্তা আছে। হয় খালি কন্টেইনার অফডকে পাঠাতে হয়। অথবা বন্দরের ভেতরে ধারণক্ষমতা যদি আরও বাড়াতে পারি, সেটা হচ্ছে।”

বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ চলছে জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন,  ২০১৬ সালে পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার টিইইউ’এস খালি কন্টেইনার লোড (জাহাজে তোলা) হয়েছে।

“তাহলে খালি কন্টেইনারের জায়গায় আমি লোডেড কন্টেইনার পাঠাব। আমাদের শতভাগ সক্ষমতা আছে। সক্ষমতা আরও বাড়াবো।”