প্রকল্পটি ‘শিগগিরই’ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘নান্দনিক চট্টগ্রামের নন্দিত নাগরিক’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের দুঃখ জলাবদ্ধতার সহসা স্থায়ী সমাধান হবে। এজন্য বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
“এ প্রকল্পে রিভার ড্রাইভ নির্মাণ করে কর্ণফুলী নদীর খালগুলোর মুখে স্লুইস গেইট বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য পাম্প হাউজ বসানো হবে। অতি দ্রুতই এ প্রকল্প একনেকে যাচ্ছে। টাকার অংকে এটি ছয় হাজার কোটি টাকার কম নয়।”
তিনি বলেন, “নাগরিক হিসেবে আমাদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। আমরা যে পরিকল্পনা করি তা মানি না। ভবন নির্মাণের জন্য পাঁচ ফুট জায়গা ছাড়ার নিয়ম থাকলেও কেউ তা মানে না। তা তদারকির ব্যবস্থাও যথাযথ নয়। আবাসিক এলাকা আবাসিকই রাখতে হবে।”
নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ‘শক্ত ব্যবস্থা’ নেওয়ার তাগিদ দিয়ে মিরসরাইয়ের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ বলেন, সিডিএসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে অথোরাইজড অফিসার থাকলেও তাদের চোখের সামনে এসব ঘটছে। শুধু চট্টগ্রামে নয়, ঢাকাতেও একই অবস্থা।
‘শিগগিরই’ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে দ্রুত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, বিএফইউজের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি স্বপন কুমার মল্লিক, বিএফইউজের যুগ্ম-মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, প্রেস ক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী আবুল মনসুর, যুগ্ম-সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ ও অর্থ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক আলোচনায় অংশ নেন।