তিনটি গবেষণাগারে আলাদাভাবে নমুণা পরীক্ষার পর সোমবার রাসায়নিক সোডিয়াম সালফেট মিশ্রিত আমদানি নিষিদ্ধ এসব খাবার লবণ জব্দ করা হয়।
খাতুনগঞ্জের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আজমির ট্রেডিং করপোরেশেন ও মেসার্স আশা এন্টারপ্রাইজ চীন থেকে এসব লবণ আমদানি করেছে বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক তারেক মাহমুদ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খালাসের অপেক্ষায় থাকা এসব লবণ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয় গত ২০ জুন। পরে তিনটি পরীক্ষাগারে এসব লবণের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
“পরীক্ষায় ৯০ দশমিক পাঁচ শতাংশ সোডিয়াম ক্লোরাইডের পাশাপাশি সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ সোডিয়াম সালফেটের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।”
আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-২০১৮ অনুযায়ী খাবারলবণ সরাসরি আমদানি নিষিদ্ধ উল্লেখ করে তারেক মাহমুদ বলেন, “আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দুটি সোডিয়াম সালফেট ঘোষণা দিয়ে চীন থেকে এসব লবণএনেছে।”
সোডিয়াম সালফেট মূলত ডিটারজেন্ট তৈরিতে এবং ড্রাইং এজেন্ট হিসেবে বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়। এটি শরীরে প্রবেশ করলে কিডনি নষ্টসহ মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
শুল্ক করসহ এসব লবণের আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা।এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে ও ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।