চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে সোমবার এ আদেশ দেন।
গত ১৮ মে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্র মো. আনোয়ার হোসেন (২০) আদালতে সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নির্যাতনের এ অভিযোগ করেন। তিনি লোহাগাড়ার মৃত সিদ্দিক আহমদের ছেলে।
আনোয়ার যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তারা হলেন- লোহাগাড়া থানার এসআই ফখরুল ইসলাম, হেলাল খান, মোরশেদ আলম, নাছির উদ্দিন রাসেল, সোলাইমান পাটোয়ারী, মো. রুবেল এবং ওসি মো. শাহজাহান।
বাদীর আইনজীবী উপল কান্তি নাথ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালত সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে বাদীর অভিযোগের পর আনোয়ারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন দাখিল করতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
আইনজীবী উপল কান্তি নাথ বলেন, “সিভিল সার্জন এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধানের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত আজ এ আদেশ দিয়েছেন।”
অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই মো. হারুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১২ মে দুপুরে সাদা পোশাকে এসআই ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আমাদের বাড়িতে যায়।
“এসময় তারা আমার ভাবি মায়মুনা বেগম ও আনোয়ারকে মারধর করে। পরে আনোয়ারকে থানায় নিয়ে যায়।”
হারুন বলেন, থানায় আনোয়ারকে সেদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মারধর করে।
অভিযোগের বিষয়ে ১৮ মে ওসি মো. শাহজাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, আনোয়ারের আরেক ভাই শিবির ক্যাডার দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।
এসময় দেলোয়ারের পরিবারের সদস্যরা পুলিশরে ওপর হামলা চালালে এসআই ফখরুল আহত হন।
এ ঘটনায় ১২ মে লোহাগাড়া থানায় পুলিশের ওপর আক্রমণ এবং আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় আনোয়ারকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছিল পুলিশ।