আসন্ন ঈদে নগরীতে যানজট কমাতে শুক্রবার সাময়িকভাবে ফ্লাইওভারের এই অংশটি খুলে দেওয়া হয়।
ফ্লাইওভারটি শতভাগ চালু হলে নগরীর উত্তর-পূর্ব অংশের যানজটের ‘চিরতরে নিরসন’ হবে বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।
এদিন ফ্লাইওভারের এক দিকের অংশ খুলে দেওয়ার পর তিনি বলেন, “ঈদের সময় নগরবাসী যানজটের শিকার হয়। সে সমস্যা থেকে চট্টগ্রামবাসীকে মুক্তি দিতে সাময়িক সময়ের জন্য এ ফ্লাইওভারের একাংশ খুলে দিয়েছি।”
তবে এটাকে ‘উদ্বোধন’ বলছেন না সিডিএ চেয়ারম্যান।
নির্মাণাধীন এ ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হলে তা চট্টগ্রামের যানজট পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটাবে বলে মনে করেন সিডিএ চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ফ্লাইওভার (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত চালু হলে ইপিজেড ও বন্দর এলাকাসহ চট্টগ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের যানজটও চিরতরে নিরসন হবে।”
“নগরীর মুরাদপুর থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ফ্লাইওভারে জিইসির মোড়ে চারটি র্যাম্প থাকবে। যার ফলে এখান দিয়ে গাড়ি উঠতে ও নামতে পারবে।”
২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। তবে বাস্তবে এর নির্মাণকাজ শুরু হয় পরের বছরের মার্চে।
শুরুতে এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৪৬২ কোটি টাকা। পরে র্যাম্প ও লুপ যুক্ত হওয়ায় প্রকল্প ব্যয় বেড়ে হয় ৬৯৮ কোটি টাকা। সেই সাথে প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়।
এর নির্মাণকাজের দায়িত্বে রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স-রেঙ্কিন (জেভি)।
প্রকল্পটির নির্মাণকাজ চলাকালে বিভিন্ন সময় নির্মাণসামগ্রী পড়ে যানবাহনের ক্ষতি এবং শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া নির্মাণকাজের কারণে যানজটের পাশাপাশি বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে যাওয়া সড়ক পেরিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে নগরবাসীকে।