স্বাভাবিক হয়নি চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক

বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের সঙ্গে বন্ধ হওয়া সড়ক যোগাযোগ বান্দরবান ও কক্সবাজারের পথে স্বাভাবিক হলেও রাঙামাটির সঙ্গে এখনো শুরু হয়নি যানবাহন চলাচল।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2017, 07:45 AM
Updated : 14 June 2017, 09:35 AM

সড়কে জমা পানি নেমে যাওয়ায় বুধবার সকাল থেকে বান্দরবান ও কক্সবাজারের পথে যান চলাচল শুরু হলেও রাঙ্গামাটির পথে মানিকছড়ি এলাকায় শালবাগানের অদূরে সড়কে পাহাড়ি ধসের কারণে তা সম্ভব হয়নি।

রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাঙামাটির সঙ্গে চট্টগ্রামের যোগাযোগ এখনো স্বাভাবিক হয়নি।

“ঘাগরার কয়েকটি স্থানে (রাস্তা) ভাঙা আছে। এছাড়া মানিকছড়ি শালবাগান সংলগ্ন এলাকায় সড়ক ধসে গেছে।”

সড়কের ওপর জমে থাকা মাটি সরাতে ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন উদ্ধারকারী সংস্থা কাজ করছে।

তবে রাঙামাটির পথে থাকা রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ায় এলাকায় মূল সড়ক থেকে পানি নেমে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাউজানের মূল সড়ক থেকে পানি নেমে যাওয়ার বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান রাউজান থানার ওসি কেফায়েত উল্লাহ।

আর রাঙ্গুনিয়ায় থাকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক উত্তম সেনগুপ্ত জানান, সেখানকার মূল সড়ক থেকে পানি নামার পর যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।

এদিকে কক্সাবাজার ও বান্দরবানের পথে থাকা চট্টগ্রামের পটিয়া, চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া এলাকায়ও মূল সড়কের ওপর থেকে পানি নেমে গেছে।

হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার (কুমিল্লা অঞ্চল) পরিতোষ ঘোষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বান্দরবান ও কক্সবাজারের সাথে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

“সকালে সুয়াকল এলাকায় কিছু পানি ছিল তাও সরে গেছে।”

চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উপজেলার দোহাজারি, কসাই পাড়া ও দেওয়ানহাট অংশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে পানি নেমে গেছে।

“তবে পানি নামার পর হাশিমপুর, চাগাচর, কেশুয়া ও বৈলতলী এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়ক ভেঙে যাওয়ার চিত্র ভেসে উঠছে।”

এদিকে সাতকানিয়ার সব স্থানে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন এ উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ উল্ল্যাহ।

পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টির পর সোমবার রাত থেকে পানি উঠা শুরু করলে চট্টগ্রামের ১০টি উপজেলা তলিয়ে যায়।

এসময় মূল সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেলে চট্টগ্রামের সাথে রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।