চট্টগ্রামে রাতেও বর্ষণ, জলাবদ্ধতা বেড়েছে আরও

দ্বিতীয় দিনের টানা বৃষ্টিতে আগের দিনে তলিয়ে যাওয়া বন্দর নগরী চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, হালিশহর, মুরাদপুর, চকবাজার ও বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা আরও প্রকট হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2017, 07:46 AM
Updated : 13 June 2017, 07:50 AM

নিম্নচাপের প্রভাবে রোববার বিকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

সোমবার রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। এতে করে সোমবার সকাল থেকে যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল সেসব এলাকা থেকে পানি নামার সুযোগ পায়নি।

সঙ্গে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া জোয়ার যোগ হওয়ায় জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করে।

এদিকে নগরীর আগ্রাবাদ-হালিশহর এলাকায় পানির পরিমাণ ছিল সোমবারের চেয়েও বেশি।

মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, ব্যাপারি পাড়া, হালিশহর, আগ্রাবাদ এক্সেস সড়ক, নিমতলা বিশ্বরোড, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চবকাজার, বাদুরতলা, আরকান সোসাইটিসহ বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

দ্বিতীয় দিনের মত জলাবদ্ধ ছিল আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতাল।

এছাড়া নগরীর অন্যতম প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ সোমবার জলাবদ্ধতার শিকার হলেও মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকে পানি নেমে যায়।

ব্যাপারি পাড়া এলাকার বাসিন্দা তাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার গভীর রাতে ঘরের জানালা দিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে।

“রাতে খাটের ওপর পর্যন্ত পানি ছিল। মঙ্গলবার দুপুরেও পানি নামেনি। খুব মানবেতর জীবন যাপন করছি।”

নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস সড়ক এলাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সুমন পাটোয়ারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অফিসে পানি ঢুকে গেছে। কাজ কর্ম সব বন্ধ।”

বহদ্দারহাট আরাকান সোসাইটির বাসিন্দা শহিদুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকালে ঘর থেকে বেরিয়েছিলাম। সবদিকে পানি। তাই কাজে যেতে না পেরে আবার বাসায় ফিরে এসেছি।”

নগরীর যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে সেখানে রিকশা-ভ্যানের পাশাপাশি কয়েকটি নৌকা চলাচল করতে দেখা গেছে।

নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় যানবাহনের সংখ্যা কম। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা।

চকবাজার এলাকায় বাজার ও দোকানের সামনে পানি জমে থাকায় বেচাকেনা প্রায় বন্ধ।

মুরাদপুর ও সংলগ্ন সিডিএ এভিনিউতে হাঁটুর ওপর পর্যন্ত পানি। এরমধ্যে অনেক কষ্টে রিকশায় চলাচল করছেন নগরবাসী।

মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসে ১৩১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে ৩০ মে রাত থেকে প্রায় তিন দিন জলাবদ্ধ ছিল নগরীর আগ্রাবাদ-হালিশহর এলাকা।

নিম্নচাপের প্রভাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে হওয়া ভারি বষর্ণে ওই এলাকাসহ বেশকিছু এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মত পানির নিচে।

এর আগে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৫৫ দশমিক ১ মিলিমিটার।