নিম্নচাপের প্রভাবে রোববার বিকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। এতে করে সোমবার সকাল থেকে যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল সেসব এলাকা থেকে পানি নামার সুযোগ পায়নি।
সঙ্গে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া জোয়ার যোগ হওয়ায় জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করে।
এদিকে নগরীর আগ্রাবাদ-হালিশহর এলাকায় পানির পরিমাণ ছিল সোমবারের চেয়েও বেশি।
মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, ব্যাপারি পাড়া, হালিশহর, আগ্রাবাদ এক্সেস সড়ক, নিমতলা বিশ্বরোড, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চবকাজার, বাদুরতলা, আরকান সোসাইটিসহ বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
দ্বিতীয় দিনের মত জলাবদ্ধ ছিল আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতাল।
ব্যাপারি পাড়া এলাকার বাসিন্দা তাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার গভীর রাতে ঘরের জানালা দিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে।
“রাতে খাটের ওপর পর্যন্ত পানি ছিল। মঙ্গলবার দুপুরেও পানি নামেনি। খুব মানবেতর জীবন যাপন করছি।”
নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস সড়ক এলাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সুমন পাটোয়ারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অফিসে পানি ঢুকে গেছে। কাজ কর্ম সব বন্ধ।”
নগরীর যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে সেখানে রিকশা-ভ্যানের পাশাপাশি কয়েকটি নৌকা চলাচল করতে দেখা গেছে।
নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় যানবাহনের সংখ্যা কম। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা।
চকবাজার এলাকায় বাজার ও দোকানের সামনে পানি জমে থাকায় বেচাকেনা প্রায় বন্ধ।
মুরাদপুর ও সংলগ্ন সিডিএ এভিনিউতে হাঁটুর ওপর পর্যন্ত পানি। এরমধ্যে অনেক কষ্টে রিকশায় চলাচল করছেন নগরবাসী।
ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে ৩০ মে রাত থেকে প্রায় তিন দিন জলাবদ্ধ ছিল নগরীর আগ্রাবাদ-হালিশহর এলাকা।
নিম্নচাপের প্রভাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে হওয়া ভারি বষর্ণে ওই এলাকাসহ বেশকিছু এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মত পানির নিচে।
এর আগে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৫৫ দশমিক ১ মিলিমিটার।