২০০৭ সালের ১১ জুন নগরী ও আশপাশের এলাকায় পাহাড় ধসে ১২৭ জনের মৃত্যুর দশক পূর্তির কর্মসূচিতে এই দাবি জানান তারা।
রোববার বিকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিহতদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্বালন করে পরিবেশবাদী সংগঠন পিপলস ভয়েস, কারিতাস চট্টগ্রাম অঞ্চল ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস)।
কর্মসূচি থেকে ১১ জুনকে ‘জাতীয় পাহাড় রক্ষা দিবস’ ঘোষণার দাবি জানায় সংগঠন তিনটি।
“শুধু বর্ষা এলেই যে পাহাড়টি ধসে সেখান থেকে কয়েকজন বসতকারীকে সরানো হয়। অথচ প্রতি বছরই নির্বিচারে নতুন পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন চলছে।”
এভাবে চলতে থাকলে ২০০৭ সালের মতো যে কোনো দিন আবার পাহাড় ধসে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় হতে পারে বলেও শঙ্কা চৌহানের।
পরিবেশ আন্দোলন কর্মী অধ্যাপক ইদ্রিস আলী বলেন, প্রতি বছর বর্ষা এলেই শুধু প্রশাসনের তোড়জোড় শুরু হয়।
বছরে ১১ মাস পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন আর এক মাস উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে কোনো ফল আসবে না বলে জানান ইদ্রিস আলী।
“শুধু বর্ষা এলেই লোক দেখানো অভিযান না চালিয়ে সারা বছর পাহাড় রক্ষার অভিযান চালাতে হবে।”
সংস্কৃতিকর্মী সুনীল ধর, কারিতাস চট্টগ্রামের শ্যামল মজুমদার, এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের এস এম এরশাদুল করিম, অধিকার কর্মী মাজেদা বেগম শিরু, যুবনেতা উজ্জ্বল শিকদার, সুব্রত ধর মিঠু, ছাত্রনেতা প্রকাশ শিকদার, সম্পদ রায়, সাইফুদ্দিন সুজন ও পরিবেশ ছাত্র ফোরামের আরিফুল হক সভায় বক্তব্য দেন।