উদ্ধার মাঝি-মাল্লাদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর আটজন এবং কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার ২৯ জন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঘূর্ণিঝড় মোরা মঙ্গলবার উপকূলে আঘাত আনার সময় নিখোঁজ থাকা বাঁশখালীর দুটি ট্রলার ফিরে আসে বুধবার।
অন্যদিকে কুতুবদিয়া উপজেলার চারটি ট্রলারের মধ্যে দুটি ট্রলারের সন্ধান মিলেছে। বাকি দুটির এখনও কোনো খোঁজ মেলেনি।
বাঁশখালীর ইউএনও কাজী মো. চাহেল তস্তরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুটি মাছ ধরার ট্রলার ফিরেছে। ওই ট্রলারের সব মাঝি-মাল্লাও ফিরেছেন।
দুটি ট্রলারের মোট আটজন মাঝি-মাল্লার নিখোঁজ থাকার কথা মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছিলেন কাজী মো. চাহেল তস্তরী।
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া এলাকার চারটি বোটের মোট ৬৩ জন জেলে নিখোঁজ ছিল।
“এরপর বিকালে স্থানীয় জেলেরা ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে পাঁচজনকে এবং সন্ধ্যায় আরও চারজনকে উদ্ধার করেন। এখন পর্যন্ত মোট ২৯ জন উদ্ধার হয়েছেন। দুটি ট্রলারের এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।”
সুজন চৌধুরী বলেন, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে স্থানীয় বোটচালকদের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। তারা সাগরের উপকূলের আশেপাশের অংশে খোঁজ করছেন।
“নৌবাহিনীও গভীর সাগরে তল্লাশি চালাচ্ছে। উদ্ধার ২৯ জনের মধ্যে ১০ জন বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের যাতে যথাযথ চিকিৎসা হয়, তা দেখা হচ্ছে।”
নিখোঁজ আরও ৩৪ জন জেলের বিষয়ে সুজন চৌধুরী বলেন, দুটি বোট এবং সেখানে থাকা মাঝি-মাল্লার বিষয়ে এখনও কোনো খবর পাইনি।
বুধবার সন্ধ্যায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কুতুবদিয়া থেকে ২০ জন জেলেকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সহকারী তথ্য কর্মকর্তা এস এম শামীম আলম স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঝড়ের পরই নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা সমুদ্র অভিযান ও বানৌজা খাদেম উদ্ধার কাজে কুতুবদিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়।
“উদ্ধার অভিযানে বানৌজা খাদেম কুতুবদিয়ার নিকট গভীর সাগরে বিকল হয়ে ডুবন্ত একটি নৌকা থেকে ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে।”
স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ
এদিকে মঙ্গলবার দিনের বেলায় মোরার আঘাতে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় এখনো চট্টগ্রামের বাঁশখালী, রাঙ্গুনিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা গ্রামের বাসিন্দা শাহীন আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ নেই। রমজানে বিদ্যুৎ না থাকায় খুব সমস্যা হচ্ছে।
বাঁশখালীর ইউএনও কাজী মো. চাহেল তস্তরী বলেন, জলোচ্ছ্বাস না হওয়ায় প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। কিন্তু দুই দিনেও বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হয়নি।
সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলেও বারবার লোডশেডিং হচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের কলেজ গেইট এলাকার বাসিন্দা মধুসুদন ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার ঝড় শুরু হওয়ার পর বিদ্যুৎ চলে যায়। এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়নি।