শনিবার সকালে পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া রোলিং মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে হাইওয়ে পুলিশের কুমিরা ফাঁড়ির এসআই মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন- মনিকা রানী দাশ (৪৫), মো. সোলায়মান (৬০) ও মো. নাসির (৫০)।
এদের মধ্যে পথচারী মনিকা দুর্ঘটনাস্থল বাঁশবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। তাকে ধাক্কা দিয়েই মাইক্রোবাসটি পুকুরে পড়েছিল।
নিহত অন্য দুজন মাইক্রোবাসটির যাত্রী। নাসির নগরীর চান্দগাঁও থানার পূর্ব ষোলশহর এলাকার বাসিন্দা। সোলায়মান হাটহাজারী থানার বালুছড়া এলাকার বাসিন্দা।
এসআই মনিরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়।
“মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর পথচারী মনিকা রানীকে ধাক্কা দিয়ে পুকুরে পড়ে।”
“সকালে ষোলশহর থেকে দুটি গাড়ি নিয়ে আমরা বের হই। সামনের ভাড়া করা মাইক্রোবাসে বড় ভাই নাসিরসহ অন্যরা ছিলেন। আমি ছিলাম পিছনের মাইক্রোবাসে।”
নাসিরের আরেক ভাই, ভাতিজা, ভাগিনা, নাতিসহ পরিবারের নয়জন আহত হন।
আহতরা হলেন- আবু তালেব (৩৮), আবদুল আজিজ (৫০), জাকির (৫০), আরিফ (৩০), সজীব (৩৭), আনোয়ারা বেগম (৬৫), মমতাজ বেগম (৪৫), রাজু আক্তার (৩৫) ও মো. সাইফ (১০)।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আহতরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।