চট্টগ্রাম চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন যে মাঠে সুইমিং পুল নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে বিজয় মেলাসহ নানা অনুষ্ঠান হয়ে আসছিল।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী অনুষ্ঠানের ওই স্থানে সুইমিং পুল নির্মাণের বিরোধিতা করে তা থেকে সরে আসতে সিজেকেএসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, যার সঙ্গে গত কিছুদিন ধরে মহিউদ্দিনের বাদানুবাদ চলছিল।
কয়েকদিনের কথার লড়াইয়ের অবসান ঘটিয়ে মহিউদ্দিন ও নাছিরের হাত মেলানোর একদিন বাদেই মঙ্গলবার ছাত্রলীগের এক দল নেতা-কর্মী সুইমিং পুল নির্মাণেল বিরুদ্ধে মানববন্ধনের পর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
এরপর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সিজেকেএসের সুইমিং পুল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আলী আব্বাস বলেন, এই সুইমিং পুল চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য একটি স্বপ্ন।
“সুইমিংও স্পোর্টসের অংশ। তাই সুইমিং পুলকে খেলার মাঠ থেকে আলাদা করে দেখার কোনো মানে নেই। মূলত ক্রীড়া জ্ঞানের অভাবে ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট নয় এমন কিছু ব্যক্তি সুইমিং পুল নির্মাণের বিরোধিতা করছে, যা ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নের পথে একটি বড় বাধাও বটে।”
প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭০ হাজার ৩৮০ বর্গফুটের এ সুইমিং পুলটি আন্তর্জাতিক মানের সাতারু তৈরিতে অবদান রাখবে বলে মনে করেন আব্বাস।
চট্টগ্রামে কোনো সুইমিং পুল না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রায় শতাধিক খেলোয়াড় সাঁতার জানেন না। সাঁতার না জানার কারণে অনেক তরুণের নদী, পুকুরে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনাও আছে। সুইমিং পুল নির্মাণের মধ্য দিয়ে আমরা সেটা কাটিয়ে উঠব।”
সুইমিং পুলকে অন্য স্থানে সরাতে ছাত্রলীগের দাবির উত্তরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার নেতা সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীর বলেন, “দেশের ১৭টি জেলায় সুইমিং পুল আছে, যার প্রত্যেকটি স্টেডিয়াম সংলগ্ন। রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধার্থে সবগুলো সুইমিং পুল স্টেডিয়ামের সাথেই করা হয়।”