সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতাকারী সংগঠনটি সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর বিবিরহাট চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা এম এ মতিন এ ঘোষণা দেন।
কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমান স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরদিনই এক বিবৃতিতে জঙ্গিবাদের প্রসারের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আহলে সুন্নাত।
তারপর ধারাবাহিক নানা কর্মসূচির পর সমাবেশ করে ইসলামী সংগঠনটি।
মতিন বলেন, “সরকারের বর্তমান শিক্ষানীতি যথেষ্ট ত্রুটিপূর্ণ। ভোটের রাজনীতির অংশ হিসেবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে কুণ্ঠিত হচ্ছে না। উগ্রবাদী চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হেফাজতের সাথেও আপস করেছে।
“১৭ থেকে ২০ বছর পড়ালেখার পর মাস্টার্স সনদ পেতে হয়। সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্তে কওমি ধারায় মাত্র পাঁচ বছরে মাস্টার্সের সনদ প্রাপ্ত হবে।”
সমাবেশে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার তাফসির বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ বখতেয়ার উদ্দিন আলকাদেরী বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় জঙ্গি হামলায় কওমিদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
“অথচ তাদের শাস্তি না দিয়ে সরকার আলিয়া ধারাকে ধ্বংসের জন্য কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে।”
জামেয়া আহমদিয়ার শিক্ষার্থী শায়ের মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামেয়ার ছাত্র সংগঠন যুল-ইয়ামিন ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ শাহজালাল।
অন্যদের মধ্যে জামেয়া আহমদিয়ার শিক্ষক গোলাম মোস্তফা মুহাম্মদ নুরুন নবী, মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুচ রজভী, মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, হাফেজ মাওলানা আহমদুল হক, মাওলানা রেজাউল করিম তালুকদার, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকী ও সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম সমাবেশে বক্তব্য দেন।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জামেয়া আহমদিয়ায় এসে শেষ হয়।
কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতির প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা প্রত্যাহার দাবিতে গত শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেয় ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত’।
তাদের কর্মসূচির মধ্যে প্রথম ধাপে সোমবার ঢাকাসহ সারা দেশের সব জেলা ও উপজেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচি ছিল।
এছাড়া ১৮ এপ্রিল বিক্ষোভ-সমাবেশ এবং ২০ এপ্রিল সব জেলার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি রয়েছে সংগঠনটির।