কোকেনকাণ্ড: সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত

ভোজ্যতেল ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে তরল কোকেন আনার ঘটনায় করা মামলায় র‌্যাবের দেওয়া সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2017, 11:39 AM
Updated : 13 April 2017, 11:39 AM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম আবু ছালেহ মোহাম্মদ নোমান অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে মামলার পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানি শেষে আদালত অপরাধ আমলে নিয়ে সম্পূরক অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেছেন এবং পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল এ মামলায় অধিকতর তদন্ত শেষে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন র‌্যাব-৭ এর কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী।

সম্পূরক অভিযোগপত্রে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়।

অন্য আসামিরা হলেন- খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল, মেহেদী আলম, আরিফুর রহমান, এএফএম আজাদ, সাইফুল ইসলাম, মোস্তাক আহমেদ, ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া।  

এদের মধ্যে নূর মোহাম্মদের ভাই মোস্তাক আহমেদ, ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া পলাতক।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের সেসময়ের সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান আটজনের বিরুদ্ধে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছিল।

এ কারণে ‘তদন্তে ত্রুটি’ আছে উল্লেখ করে আদালত ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর র‌্যাবের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা দিয়ে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।

সম্পূরক অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, নূর মোহাম্মদের জ্ঞাতসারেই তেলের সাথে মিশিয়ে কোকেন আমদানি করা হয় এবং এই পুরো ঘটনার শুরু থেকেই তিনি অবগত ছিলেন।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

বলিভিয়া থেকে মেসার্স খান জাহান আলী লিমিটেডের নামে আমদানি করা সূর্যমুখী তেলবাহী কনটেইনারটি জাহাজে তোলা হয় উরুগুয়ের মন্টেভিডিও বন্দর থেকে। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে ওই বছরের ১২ মে পৌঁছায় চট্টগ্রাম বন্দরে।

পরে আদালতের নির্দেশে কন্টেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রথমে বন্দরের পরীক্ষায় এসব নমুনায় কোকেনের উপস্থিতি না মেলায় ঢাকার বিসিএসআইআর এবং বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে তরলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দুই পরীক্ষাগারেই নমুনায় তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। 

এ ঘটনায় ২৮ জুন চট্টগ্রামের বন্দর থানায় নূর মোহাম্মদ ও গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ। পরে আদালত মামলায় চোরাচালানের ধারা সংযোগের নির্দেশ দেয়।