দেয়ালচিত্র নষ্টের পরও থেমে নেই বর্ষবরণের উদ্যম

‘পোড়া মবিলে’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের বৈশাখী দেয়ালচিত্র নষ্ট করা হলেও থামেনি শিক্ষার্থীদের বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2017, 11:12 AM
Updated : 13 April 2017, 12:14 PM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর বাদশা মিয়া রোডে অবস্থিত ইনস্টিটিউটের ভেতর গিয়ে দেখা যায়, শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে দিনভর ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা।

বৈশাখী দেয়ালচিত্রে দুর্বৃত্তের ছোড়া মবিল তাদের আয়োজন ও উদ্যোগকে এতটুকুও দমিয়ে রাখতে পারেনি। তবে পোড়া মবিলে নষ্ট করে দেওয়া বৈশাখী দেয়াল চিত্রে নতুন করে কিছু আঁকা হবে না। সেটি রেখে দেওয়া হবে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে। 

ইনস্টিটিউটের বাইরে ক্ষতিগ্রস্ত দেয়ালের পাশে নতুন করে বৈশাখী চিত্র এঁকেছেন শিক্ষার্থীরা, ভেতরে চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরির কাজ।

চারুকলার শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা বলছেন, দুর্বৃত্তের আঘাত আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। নতুন বাংলা বছরকে বরণের জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি।

চারুকলা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক জিহান করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাইরের দেয়ালে যেটি কালো মবিলে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, সেটিতে আমরা নতুন করে কিছু করছি না। প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে সেটি সেভাবেই রেখে দেওয়ার চিন্তা রয়েছে।

“বাংলা বছরের প্রথমদিন শুক্রবার সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আসা লোকজন নষ্ট করে দেওয়া দেয়ালচিত্রটি দেখবে এবং বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতির ওপর দুর্বৃত্তরা কিভাবে আঘাত করেছে, তা বুঝতে পারবে। এটি রেখে দেওয়া মানে আমাদের প্রতিবাদ।”

দেয়ালচিত্র নষ্ট করলেও কাজ থেমে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত আমাদের শিক্ষার্থীরা বাইরের দেয়ালে চিত্র এঁকেছে। আগে আমাদের যেখানে দুইশ ফুট দেয়াল জুড়ে বাঙালি সংস্কৃতি ও লোকজীবনের চিত্র আঁকার কথা ছিল, সেখানে এখন তিনশ ফুট পর্যন্ত করা হচ্ছে।”

এছাড়া দিনের বেলা চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি, যা পহেলা বৈশাখের সকালে চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বের করা হবে।