কোকেনকাণ্ডের মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে

ভোজ্যতেল ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে তরল কোকেন আনার ঘটনায় করা মামলায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক নুর মোহাম্মদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 April 2017, 01:21 PM
Updated : 3 April 2017, 01:51 PM

এই মামলার অধিকতর তদন্তের দায়ত্বিপ্রাপ্ত র‌্যাব-৭ এর কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হারুনুর রশিদের আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন।

আদালত পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযোগপত্রটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। এতে নুর মোহাম্মদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। 

এর আগে ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান আটজনের বিরুদ্ধে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নুর মোহাম্মদকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

এ কারণে তদন্তে ত্রুটি আছে উল্লেখ করে আদালত ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর র‌্যাবের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা দিয়ে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।

এই কন্টেইনারের একটিতে সূর্যমুখী তেলের মধ্যে তরল কোকেন পাওয়া গেছে

সম্পূরক অভিযোপত্রে উল্লেখ করা আসামিরা হলেন- খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মালিক নুর মোহাম্মদ, মোস্তফা কামাল, মেহেদী আলম, আরিফুর রহমান, এএফএম আজাদ, সাইফুল ইসলাম, মোস্তাক আহমেদ, ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া।  

এদের মধ্যে প্রথম সাতজন গ্রেপ্তার ও শেষ তিনজন পলাতক রয়েছেন।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

বলিভিয়া থেকে মেসার্স খান জাহান আলী লিমিটেডের নামে আমদানি করা সূর্যমুখী তেলবাহী কনটেইনারটি জাহাজে তোলা হয় উরুগুয়ের মন্টেভিডিও বন্দর থেকে। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে গত ১২ মে পৌঁছায় চট্টগ্রাম বন্দরে।

পরে আদালতের নির্দেশে কন্টেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রথমে বন্দরের পরীক্ষায় এসব নমুনায় কোকেনের উপস্থিতি না মেলায় ঢাকার বিসিএসআইআর এবং বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে তরলের নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করা হয়। দুই পরীক্ষাগারেই নমুনায় তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। 

এ ঘটনায় ২৮ জুন চট্টগ্রামের বন্দর থানায় নূর মোহাম্মদ ও গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ। পরে আদালত মামলায় চোরাচালানের ধারা সংযোগের নির্দেশ দেয়।