বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতি: সাংসদ লতিফের মানহানি মামলায় রিভিশন

বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা খারিজের আদেশের বিষয়ে রিভিশন আবেদন করেছেন বাদী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2017, 02:17 PM
Updated : 31 July 2017, 12:59 PM

রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূরের আদালতে এ আবেদন করা হয়।

মামলার বাদী সাবেক যুবলীগ নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মানহানির মামলাটিতে রিভিশন আবেদন করেছি। আদালত সেটি গ্রহণ করে আগামী ২৫ এপ্রিল শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেন।”

এর আগে গত ৮ মার্চ সাংসদ লতিফের বিরুদ্ধে রবির করা মানহানি এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলা দুটি খারিজ করে দেন চট্টগ্রামের পঞ্চম মহানগর হাকিম আল ইমরান।

তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় সিআইডি এবং মানহানির মামলায় পুলিশের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ২০৩ ধারা মোতাবেক মামলা দুটি খারিজের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর গত ১৯ মার্চ তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলাটিতেও রিভিশন আবেদন করেছিলেন বাদি।

রবি বলেন, “তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলাটিরও শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২৫ এপ্রিল। একই দিন মামলা দুটির শুনানি হবে।”

বাদীর আইনজীবী মোসলেম উদ্দিন বলেন, মামলা খারিজ করে আদালতের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৩৫ এব ৪৩৬ ধারায় রিভিশন আবেদন করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম সফরের আগে নিজের নির্বাচনী এলাকায় সড়কের পাশে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত কয়েক ডজন বিলবোর্ড লাগান লতিফ। কিন্তু ওই ছবি নিয়ে ফেইসবুকে শুরু হয় তুমুল আলোচনা। বলা হয়, ছবির দেহাবয়ব, পাজামা ও জুতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের একটি অংশের বিক্ষোভের মধ্যে লতিফ বিলবোর্ডের প্রচারের দায়িত্বে থাকা বিজ্ঞাপনী সংস্থার এক ডিজাইনারকে সংবাদ সম্মেলনে হাজির করেন। সেই ডিজাইনার স্বীকার করেন, ছবিতে লতিফের দেহাবয়বে বঙ্গবন্ধুর মাথা ব্যবহার করা হয়েছে।

ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় এম এ লতিফের পাশাপাশি এই সাংসদের সহযোগী মো. আমজাদ, চট্টগ্রাম চেম্বারের কর্মচারী রাজীব দাশ এবং বিজ্ঞাপনী সংস্থা হায়দার প্রিন্টার্সের চিফ ডিজাইনার কবির হোসেন বাবুসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়।

একই দিন ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১২৪ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগটি করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কে এম বেলায়েত হোসেন।

এর আগে ওই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি লতিফের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলাটি করেন সাইফুদ্দিন রবি। একই দিন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রহিম জিল্লু ওইদিনই মানহানির আরেকটি মামলা করেন।

এরপর তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলাটি তদন্ত শেষে গত বছরের মার্চে পুলিশ প্রতিবেদন জমা দেয়। তাতে ছবি বিকৃতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করা হলে বাদী নারাজি দেন। বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।