চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সীতাকুণ্ড পৌর শহরের নামার বাজার এলাকায় সাধন কুটির নামের একটি দোতলা বাড়ি থেকে ১৫ মার্চ দুপুরে জসিম ও আর্জিনা নামের দুই জঙ্গিকে বাড়িওয়ালার সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওইদিন বিকেলে প্রেমতলায় ‘ছায়ানীড়ে’ অভিযান শুরু হয়। প্রায় ১৯ ঘণ্টার সেই অভিযান শেষ হয় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ও গুলিতে চার জঙ্গির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। পরে ওই বাড়িতে বোমায় বিক্ষত এক শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
অভিযান শেষে পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল সারাদিন ওই বাসায় তল্লাশি চালায়। সেদিন ১০টি গ্রেনেড ও তিনটি সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধারের পর সেগুলো নিস্ক্রিয় করা হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তা রেজাউল মাসুদ জানান।
এরপর শনিবার চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে ছয়টি এবং ছাদে একটি বোমা পায়। রোববার ওই বাসার টয়লেট ও কিচেন থেকে উদ্ধার করা হয় ১৮টি বোমা।
সর্বশেষ সোমবার ওই বাসার একটি কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে একটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। এছাড়া পাঁচ দিনে ১১টি বিস্ফোরক জেল, পাঁচ ড্রাম হাইড্রোজেন পার অক্সাইড এবং এক ড্রাম এসিড উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল বলেন, এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সব বোমা, গ্রেনেড ও সুইসাইড ভেস্ট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিস্ক্রিয় করা হয়েছে।
সোমাবার দুপুরে বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল কাজ শেষ করলে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট বিকেল পর্যন্ত ওই বাড়ি থেকে আলামত সংগ্রহ করে।