চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম হোসাইন মুহাম্মদ রেজা পুলিশের করা রিমান্ড আবেদনের শুনানি নিয়ে তাদের হেফাজতে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
এর আগে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে গ্রেপ্তার দম্পতি আর্জিনা ও জসিমকে আদালতে হাজির করে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং অস্ত্র আইনের দুই মামলার প্রতিটিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেককে ১৫ দিন করে হেফাজতে চায় পুলিশ।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাহবুব মিল্কী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিচারক রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় প্রত্যেককে সাতদিন এবং অস্ত্র আইনের মামলায় পাঁচদিন করে হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেন।
বুধবার সীতাকুণ্ডের নামার বাজার ওয়ার্ডের আমিরাবাদ এলাকার সাধন কুটিরে অভিযান চালিয়ে এই জঙ্গি দম্পতিকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী ও অস্ত্র আইনে এ দুই মামলা করা হয়।
কাপড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নেওয়া জসিমের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে সাধন কুঠিরের বাড়িওয়ালার সন্দেহ থেকে ওই জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ।
সেখান থেকে জসিম ও তার স্ত্রী আর্জিনাকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যে পাশের ৫ নম্বর প্রেমতলা ওয়ার্ডের ‘ছায়ানীড়’ ভবনে অভিযান যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে প্রেমতলার ‘ছায়ানীড়’ নামে বাড়ি ঘিরে রাখার পর বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে চূড়ান্ত অভিযান শুরু করা হয়, যাতে নিহত হন এক শিশুসহ পাঁচজন।
নিহতদের মধ্যে নব্য জেএমবির দুজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ রয়েছেন বলে পুলিশের দাবি।
‘ছায়ানীড়’ ভবনে অভিযানের সময় বোমা উদ্ধার ও হতাহতের ঘটনায় হত্যা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আরও দুটি মামলা করা হয়। এসব মামলাতেও জঙ্গি দম্পতি জসিম ও আর্জিনাকে আসামি করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।