‘ছায়ানীড়’ নামের দুই তলা ওই বাড়ির সিঁড়িতে একতলা ও দোতলার মাঝামাঝি স্থানে যেখানে এক নারীর লাশ পড়েছিল, তার পাশেই আনুমানিক ছয় বছর বয়সী ওই শিশুর লাশ পাওয়া যায় বলে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান।
ওই বাড়িতে এ নিয়ে এক নারী ও তিন পুরুষসহ মোট পাঁচজনের লাশ পাওয়া গেল।
হাবিবুর রহমান বলেন, সকালে অভিযানের সময় জঙ্গিরা যখন আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়, তখনই শিশুটির মৃত্যু হয় বলে তারা ধারণা করছেন।
বুধবার বিকালে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলার পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় সোয়াট ও পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা ওই বাড়িতে অভিযান শুরু করেন।
ওই বাড়ির বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিসি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন। এর মধ্যে বিস্ফোরকবোঝাই তিনটি সুইসাইড ভেস্টসহ দশটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
হাবিবুর রহমান বলেন, সন্ধ্যা ৬টায় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের কাজ শেষে ক্রাইম সিন ইউনিট ওই বাড়িতে আলামত সংগ্রেহের কাজ শুরু করেছে। পাঁচজনের লাশের বিভিন্ন অংশ জড়ো করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। সে সময় তাদের ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করা হবে।