সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
স্বাধীনতা দিবস ও গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী, চট্টগ্রাম।
গত ৩ মার্চ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক জানান, এবার থেকেই বিসিএস পরীক্ষায় বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতে প্রশ্ন প্রণয়ন করা হচ্ছে।
মুনতাসীর মামুন বলেন, “বিসিএস পরীক্ষায় ইংরেজি ভাষায় পরীক্ষার কথা বলা হচ্ছে। যারা এসবের কথা বলছেন বা এসব করছেন তাদের সন্তানরা এদেশে পড়ালেখা করেন না।”
বাংলা ভাষাকে এখনও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে চালু করতে না পারাকে দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গণহত্যাকে গুরুত্ব না দেওয়ায় ইতিহাস বিকৃতি সম্ভব হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “২৫শে মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের যে সিদ্ধান্ত সেটাকে বিএনপি এখনও অভিনন্দন জানায়নি, পাছে পাকিস্তান আবার নাখোশ হয়।
“স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি হযেছে কারণ গণহত্যাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যারা রাজনীতি করেছেন তারাই কোন না কোনোভাবে এ বিকৃতির সুযোগ করে দিয়েছেন।”
আলোচনায় অংশ নিয়ে সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুপম সেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। কারণ এমন কোনো গ্রাম নাই, পরিবার নাই যে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়নি।
“প্রতিটি বড় বিপ্লবের পরই প্রতিবিপ্লব আসে। তেমনি মুক্তিযুদ্ধের পরও প্রতিবিপ্লব এসেছিল আর সেটি ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।”
বঙ্গবন্ধু কন্যা যে ইতিহাসের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে পারছেন তার পেছনে জাহানারা ইমাম, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অবদান আছে বলেও জানান তিনি।
পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা, নৃশংসতাকে বিশ্বের সামনে নিয়ে আসারও আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও লেখক আবুল মোমেন, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সহ-সভাপতি মেজবাহ কামাল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান।