দায়িত্ব পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে ফিরে দলীয় সংবর্ধনায় এ কথা বলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে নওফেল।
ঢাকা থেকে সোনার বাংলা ট্রেনে করে বেলা পৌনে একটার দিকে চট্টগ্রাম পৌঁছান নওফেল। পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে একটি ট্রাককেমঞ্চ বানিয়ে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
নওফেলকে স্বাগত জানাতে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে রেল স্টেশন চত্বরে জড়ো হন।
সংবর্ধনার কারণে নগরীর নিউমার্কেট, জুবিলী রোড, কোতোয়ালি, স্টেশন রোড, বিআরটিসি, টাইগারপাস, কদমতলী এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে অস্থায়ী সংবর্ধনা মঞ্চে ওঠেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া আমিনুল ইসলাম।
এসময় নেতাকর্মীরা নওফেলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। কয়েকজনের হাত থেকে ফুল নিয়ে তা কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি আর ফুল না দিতেও অনুরোধ করেন।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নওফেল বলেন, “আমি আপনাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ তিনি চট্টগ্রামবাসীকে সম্মান জানিয়েছেন।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নওফেল বলেন, “এখনও আনন্দ করার সময় আসেনি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে যখন নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারব, বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী করতে পারব, তখন বিজয় মিছিল করব।”
সংবর্ধনায় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমাদের পদ দেওয়া হয়েছে নেতাগিরি করার জন্য নয়, দলের কাজ করার জন্য।
“রাজনীতি করতে হবে দেশের মানুষের জন্য। কাজ করতে হবে চট্টগ্রামের জন্য, বাংলাদেশের মানুষের জন্য। ব্যক্তিগত প্রাপ্তির জন্য নয়।”
বুধবার আওয়ামী লীগের নতুন কার্যনির্বাহী সংসদের প্রথম সভায় নওফেলকে ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব পান আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম।
সংবর্ধনায় জড়ো হওয়া দলীয় নেতাকর্মীদের অধিকাংশই নওফেলের বাবা মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।
মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত নগরের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ ও কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব ছিলেন।
সংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহিউদ্দিনপত্মী নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন এবং নওফেলের শিক্ষক চট্টগ্রাম সানশাইন গ্রামার স্কুলের অধ্যক্ষ গাজী সাফিয়া রহমান।
এছাড়া কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এবং সিআরবির জোড়া খুনের মামলার আসামি হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরকেও দেখা গেছে অনুষ্ঠানে।
সংবর্ধনা শেষে অস্থায়ী মঞ্চ হিসেবে ব্যবহৃত ট্রাকটি নিয়েই নগরীর চশমা হিলের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন নওফেল।